বঙ্গনিউজবিডি ডেস্ক : দেশে করোনাভাইরাস সংক্রমণে শনাক্ত ও মৃত্যুর হার অস্বাভাবিক বেড়ে যাওয়ায় স্বাস্থ্যবিধি মেনে মসজিদে নামাজ আদায়ে ১০ দফা নির্দেশনা দিয়েছে সরকার। সোমবার (৫ এপ্রিল) ধর্ম মন্ত্রণালয়ের উপসিচিব সাখাওয়াৎ হোসেনের সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব নির্দেশনা দেয়া হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ১০ দফা নির্দেশনা মানা না হলে স্থানীয় প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণকারী বাহিনী সংশ্লিষ্ট দায়িত্বশীলদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেবে।
মসজিদে ইফতার সেহরির আয়োজন করা যাবে না বলা হলেও রমজানে তারাবিহ নামাজ আদায়ে সাধারণ মুসল্লিদের নিষেধ আছে কিনা তার স্পষ্ট উল্লেখ নেই নির্দেশনায়।
১০ নির্দেশনা
১। মসজিদের প্রবেশদ্বারে হ্যান্ড স্যানিটাইজার/হাত ধোয়ার ব্যবস্থাসহ সাবান-পানি রাখতে হবে এবং আগত মুসল্লিকে অবশ্যই মাস্ক পরে মসজিদে আসতে হবে।
২। প্রত্যেককে নিজ নিজ বাসা থেকে ওযু করে, সুন্নাত নামাজ ঘরে আদায় করে মসজিদে আসতে হবে এবং ওজু করার সময় কমপক্ষে ২০ সেকেন্ড সাবান দিয়ে হাত ধুতে হবে।
৩। মসজিদে কার্পেট বিছানো যাবে না। পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের পূর্বে সম্পূর্ণ মসজিদ জীবানুনাশক দ্বারা পরিস্কার করতে হবে, মুসল্লিরা প্রত্যেকে নিজ নিজ দায়িত্বে জায়নামাজ নিয়ে আসতে হবে।
৪। কাতারে নামাজে দাঁড়ানোর ক্ষেত্রে সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করতে হবে।
৫। শিশু, বয়স্ক, যেকোনো অসুস্থ ব্যক্তি এবং অসুস্থদের সেবায় নিয়োজিত ব্যক্তি জামাতে অংশ নেওয়া হতে বিরত থাকবে। ৬। সংক্রমণ রোধ নিশ্চিত করতে মসজিদের ওযুখানায় সাবান/হ্যান্ড স্যানিটাইজার রাখতে হবে। মসজিদে সংরক্ষিত জায়নামাজ ও টুপি ব্যবহার করা যাবে না।
৭। সর্বসাধারণের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ, স্থানীয় প্রশাসন এবং আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণকারী বাহিনীর নির্দেশনা অবশ্যই পালন করতে হবে।
৮। মসজিদে ইফতার ও সেহরির আয়োজন করা যাবে না। ৯। করোনাভাইরাস মহামারি থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য নামাজ শেষে মহান রাব্বুল আলামিনের দরবারে খতিব ও ইমামরা দোয়া করবেন।
১০। সরকারের এসব নির্দেশনা মসজিদের খতিব, ইমাম এবং মসজিদ পরিচালনা কমিটি বাস্তবায়ন নিশ্চিত করবেন বলেও জানানো হয়েছে।
প্রাণঘাতি করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধে স্থানীয় প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণকারী বাহিনী, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং সংশ্লিষ্ট মসজিদের পরিচালনা কমিটিকে নির্দেশনাগুলো বাস্তবায়ন করার জন্য অনুরোধ জানিয়েছে ধর্ম মন্ত্রণালয়।