দীর্ঘদিন ধরে লাশ বহন করতে গিয়ে রাঙ্গুনিয়াবাসী নানা ভোগান্তির স্বীকার হতো। তথ্যমন্ত্রী’র মানবিক উদ্যোগে এই প্রথম লাশবাহী ফ্রিজার ভ্যান পেলো রাঙ্গুনিয়াবাসী। এতে রাঙ্গুনিয়াসহ আশপাশের এলাকার মানুষের দীর্ঘদিনের দুঃখ লাঘব হবে।
বৃহস্পতিবার (১ জুলাই) রাঙ্গুনিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স চত্বরে দোয়া ও মিলাদ মাহফিলের মধ্য দিয়ে এটির আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হয়েছে।
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রীর পারিবারিক দাতব্য প্রতিষ্ঠান এনএনকে ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে লাশবাহী ফ্রিজার ভ্যানটি পরিচালিত হচ্ছে। এছাড়া তথ্যমন্ত্রীর ব্যক্তিগত উদ্যোগে আরও একটি অত্যাধুনিক অ্যাম্বুলেন্স পাঁচ বছর ধরে দিবা-রাত্রি রাঙ্গুনিয়ায় রোগী পরিবহনে সেবা দিয়ে আসছে।
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, রাঙ্গুনিয়াসহ আশপাশের উপজেলা গুলোর অনেকে প্রবাসে থেকে জীবিকা নির্বাহ করেন। সেখানে অনেকসময় দুর্ঘটনার শিকার হয়ে রেমিটেন্স যোদ্ধারা প্রাণ হারান। তাদের লাশ বিমানে দেশে আনার পর অনেকসময় ফ্রিজার ভ্যানের অভাবে সমস্যায় পড়তে হয়। চট্টগ্রাম শহরের কোন হাসপাতালে কারো মৃত্যু হলে সেই লাশ রাঙ্গুনিয়ায় নিতেও বিপাকে পড়তে হয় অনেক সময়। এধরনের মানবিক সহায়তায় শুধু রাঙ্গুনিয়া নয়, আশেপাশের উপজেলাতেও ফ্রিজার ভ্যানটি সেবা প্রদান করবে।
তিনি বলেন, রাঙ্গুনিয়াবাসীর জন্য এনএনকে ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে কয়েক বছর আগে একটি অ্যাম্বুলেন্স দেয়া হয় এবং সরকারের পক্ষ থেকেও তিন বছর আগে একটি অ্যাম্বুলেন্স দেয়া হয়েছিল। এ দুটি অ্যাম্বুলেন্সের মাধ্যমে রাঙ্গুনিয়ার মুমূর্ষু রোগীরা নিয়মিত সেবা পাচ্ছে। ফ্রিজার ভ্যানটি চালু হওয়ায় লাশ বহন ও সংরক্ষণের সংকট নিরসনে সহায়ক হবে বলে আমি আশা করি।
লাশবাহী ফ্রিজার ভ্যান চালু উপলক্ষে বৃহস্পতিবার দোয়া মাহফিলে অংশ নেন রাঙ্গুনিয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান স্বজন কুমার তালুকদার, পৌরসভার মেয়র মো. শাহজাহান সিকদার, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. দেব প্রাসাদ চক্রবর্তী, ইউপি চেয়ারম্যান ইদ্রিছ আজগর, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার শামসুল আলম তালুকদার, আওয়ামী লীগ নেতা আকতার হোসেন খাঁন ও পৌর কাউন্সিলার জসিম উদ্দিন শাহ প্রমুখ।