বঙ্গনিউজবিডি ডেস্ক:রাজশাহীর রাজনীতিতে বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক ফজলে হোসেন বাদশার প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপি চেয়ারপারসনের অন্যতম উপদেষ্টা মিজানুর রহমান মিনু। সুযোগ পেলেই একজন অন্যজনের কঠোর সমালোচনা করেন। দুজন দুই আদর্শের রাজনীতিবিদ হলেও এবার তাঁদের দেখা গেল একসঙ্গে।
রাজশাহীর একটি তিন তারকা রেস্তোরাঁয় গত শনিবার সন্ধ্যায় এ চা-চক্রে বসেছিলেন বাদশা-মিনু।
গোয়েন্দা সূত্রে জানা গেছে, রেস্তোরাঁর একটি ক্যাফেতে বসে মিনু ও বাদশা প্রায় ২০ মিনিট বৈঠক করেছেন। কী নিয়ে তাঁদের মধ্যে আলোচনা হয়েছে তা জানা যায়নি।
এদিকে মিনুর সঙ্গে দেখা হওয়ার কথা বাদশা স্বীকার করলেও অস্বীকার করেছেন মিনু। মিনু বলেছেন, ‘মাস দুয়েক আগে বাদশার সঙ্গে বিমানের ভেতর আমার দেখা হয়েছিল।
এর বাইরে কোথাও কোনো সাক্ষাৎ হয়নি।’
মিনু ও বাদশার বৈঠকের খবর ছড়ানোর পর এ দুজনকে নিয়ে স্থানীয় রাজনীতিবিদদের মধ্যে আলোচনা শুরু হয়েছে। এর আগে গত সোমবার বিষয়টি জানতে পারে বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা। একটি সংস্থার কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এ দুই নেতার বৈঠকের বিষয়টি নিয়ে রেস্তোরাঁটির কোনো কর্মী কথা বলেননি।
ব্যবস্থাপক (অপারেশন) ফখরুল আলম শোভন কথা বলেছেন। তিনি গোয়েন্দা সংস্থাকে জানিয়েছেন, ‘শনিবার সন্ধ্যার দিকে আগে ফজলে হোসেন বাদশা ও পরে মিজানুর রহমান মিনু আসেন। তাঁরা কফি পান করে চলে যান।’
বৈঠকের বিষয়ে বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক ও রাজশাহী-২ (সদর) আসনের সংসদ সদস্য (এমপি) ফজলে হোসেন বাদশা সাংবাদিকদের বলেন, ভোটের মিছিল শেষে তিন কর্মীকে নিয়ে কফি পান করতে গিয়েছিলেন। সেখানে মিজানুর রহমান মিনু তাঁর পরিবারের জন্য খাবার কিনতে যান।
তখন মিনু সালাম দেন। এর বাইরে কোনো আলাপ-কিংবা চা-চক্র হয়নি।
মিজানুর রহমান মিনু বলেন, ‘বাদশা ভাইয়ের সঙ্গে আমার অনেক দিন দেখা হয়নি। মাস দুয়েক আগে শুধু একবার প্লেনের মধ্যে দেখা হয়েছিল। এ ছাড়া আর দেখা হয়নি। শুধু পেপার-পত্রিকায় বাদশা ভাইকে দেখি।’
মিনু আরো বলেন, ‘মানুষের সঙ্গে মানুষের দেখা হতেই পারে। তা নিয়ে কী হয়েছে?’
গত তিনটি সংসদ নির্বাচনের মতো আসন্ন ৭ জানুয়ারির নির্বাচনেও রাজশাহী-২ আসনে জোটের প্রার্থী হিসেবে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী হয়েছেন ফজলে হোসেন বাদশা। কিন্তু এবার নৌকা পেলেও তাঁর স্বস্তি নেই। এখানে কাঁচি প্রতীক নিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন মহানগর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি শফিকুর রহমান বাদশা।
এ আসনে জোটের শরিক জাসদেরও মশাল প্রতীকের আলাদা প্রার্থী আছে। নগর আওয়ামী লীগ রীতিমতো সভা করে স্বতন্ত্র প্রার্থী শফিকুর রহমান বাদশাকে সমর্থন দিয়েছে। ফলে বেকায়দায় পড়েছেন ১৪ দলের কেন্দ্রীয় নেতা ফজলে হোসেন বাদশা। বিএনপি নির্বাচন বর্জন করলেও তাদের ভোট ব্যাংককে গুরুত্ব দিয়ে দেখছেন প্রার্থীরা।