বঙ্গনিউজবিডি ডেস্ক : বাংলাদেশের ছোড়া ৩০৪ রানের লক্ষ্য হেসেখেলেই পার করল জিম্বাবুয়ে। ১০ বল ও ৫ উইকেট হাতে রেখেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে গেছে স্বাগতিকরা।
আর বিশাল লক্ষ্য পাড়ি দেওয়ার তরী কাইয়া-রাজা জুটি। বাংলাদেশি বোলারদের তুলোধোনা করে দুজনেই শতক হাঁকিয়েছেন।
গড়েছেন ৪র্থ উইকেটে সর্বোচ্চ ১৯২ রানের জুটি।
এছাড়া জিম্বাবুয়ের ওয়ানডে ইতিহাসে মাত্র দ্বিতীয় বার এক ম্যাচে দুজন শতক পাওয়ার ঘটনা ঘটল। প্রথম এমন ঘটেছিল ২০০৪ সালে, অ্যাডিলেডে ভারতের বিপক্ষে।
অথচ শুরুতে ২ উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়ে যায় স্বাগতিকরা। মোস্তাফিজ-শরিফুলের জোড়া আঘাতে টালমাটাল হয়ে পড়ে তারা। প্রথম ওভারেই ৫ম বলে অভিজ্ঞ ওপেনার রেগিস চাকাভার স্টাম্প উড়িয়ে দেন মোস্তাফিজুর রহমান।
৬ বলে ২ রান করে সাজঘরে ফেরেন জিম্বাবুয়ের অধিনায়ক।
পরের ওভারেই ঠিক ৫ম বলেই মুসাকান্দাকে সাজঘরে ফেরান পেসার শরীফুল।
৫ বলে এক বাউন্ডারিতে ৪ রান করে আউট হন মুসাকান্দা। এরপর মাঠে নেমে সাফল্যের গল্প লেখা শুরু করেন ইনোসেন্ট কাইয়া ও সিকান্দার রাজা। শরীফুল- মোস্তাফিজুর-তাসকিনদের বেশ ভালোভাবেই সামাল দিয়ে দলকে জয়ের বন্দরে পৌঁছে দেন।
ক্যারিয়ারের ৫ম ম্যাচেই প্রথম সেঞ্চুরির দেখা পেলেনকাইয়া।
১১৫ বলে এক ছক্কা ও ১১ বাউন্ডারিতে তিন অংকের ম্যাজিক ফিগারে পৌঁছান তিনি।
অন্যপ্রান্তে ৮১ বলে ৮ বাউন্ডারি ও ৪ ছক্কায় তিন অংকের ঘরে পা রাখেন অভিজ্ঞ সিকান্দার রাজা। যা তার ওয়ানডে ক্যারিয়ারের ৪র্থ সেঞ্চুরি।
১২২ বলে খেলে ১১০ রানে সাজঘরে ফেরেন কাইয়া।
৪১.৫ ওভারে মোসাদ্দেকের বলে স্লগ সুইপ করতে গিয়ে ক্যাচ তুললেন কাইয়া। ফাইন লেগে দাঁড়িয়ে তা লুফে নেন শরীফুল।
কাইয়া সাজঘরের ফেরার সময় জয়ের জন্য জিম্বাবুয়ের প্রয়োজন পড়ে ৪৮ বলে ৪৯ রানের। সে পথটুকু লুক জঙ্গুয়ে ও সুম্বাকে নিয়ে পার করে দেন সিকান্দার রাজা।
মিরাজের বলে আফিফের হাতে ক্যাচ তুলে দেওয়ার আগে দুই বাউন্ডারি ও ১ ছক্কায় ১৯ বলে ২৪ রান করেছেন জঙ্গুয়ে।
১০৯ বলে ১৩৫ রানে অপরাজিত থাকেন সিকান্দার রাজা। ৮ বাউন্ডারি ও ৬ ছক্কায় এ রান করেন রাজা।
টি-টোয়েন্টি সিরিজ হারের পর ওয়ানডে সিরিজেও ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেল আফ্রিকার দেশটি।