রমজান আলী, স্টাফ রিপোর্টার : রাঙ্গামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবিপ্রবি) ভিসি ও প্রো-ভিসির অনুপস্থিতিতে একাডেমিক, আর্থিক ও প্রশাসনিক দায়িত্ব প্রাপ্ত শিক্ষক ড. নিখিল চাকমা সম্প্রতি একটি বিতর্কিত ঘটনার জন্ম দিয়েছে। তার উপস্থিতিতে এবং নিজস্ব তত্ত্বাবধানে ক্যাম্পাসের বিভিন্ন স্থানে উপজাতিতীয় সম্প্রদায়ের সাথে সম্পর্কিত গ্রাফিতি অঙ্কিত হয়েছে! যা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মধ্যে অভ্যন্তরীণ সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা সৃষ্টি করেছে। এই পরিস্থিতি উদ্বেগজনক কারণ এটি শিক্ষার পরিবেশে শান্তি ও সহাবস্থানের ধারণাকে প্রশ্নবিদ্ধ করছে।
গত ০২ জানুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের নবীন শিক্ষার্থীদের অরিয়েন্টেশন প্রোগ্রামের তারিখ নির্ধারিত হলে এর একদিন আগেই এসকল গ্রাফিতি অংকন করা হয়েছে। এর ফলে ক্যাম্পাসের প্রধান ধর্মীয় সম্প্রদায়গুলোর মধ্যে অভ্যন্তরীণ ভুল বোঝাবুঝি ও বিভেদ বৃদ্ধি পাওয়ার চরম আশংঙ্কার পাশাপাশি সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট ও সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার সম্ভাবনাও প্রবল!
এছাড়াও ড. নিখিল চাকমা এসকল গ্রাফিতি অংকনের পর আঞ্চলিক সংগঠন পিসিপি (পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ ) এর নামও জড়িয়ে দেন অর্থাৎ এ সকল গ্রাফিতি পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ কর্তৃক অঙ্কিত বলে তিনি বোঝাতে চান। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন কর্তৃক এ সকল সাম্প্রদায়িক গ্রাফিতি অংকন কতটুকু যৌক্তিক সে বিষয়ে প্রশ্ন তুলছেন রাবিপ্রবির সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শিক্ষার্থী বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরে এ সকল সামপ্রদায়িক গ্রাফিটি অভ্যন্তরীণ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতিকে বিনষ্ট করার ষড়যন্ত্রের আভাস দেয়। তবে তা যদি কোন শিক্ষার্থী দ্বারা সংঘটিত হতো তবে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এ বিষয়ে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নিতে পারত। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রশাসন যদি এ সকল সাম্প্রদায়িক ঘটনার সাথে জড়িত থাকেন তাহলে সে বিশ্ববিদ্যালয়ে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি কিভাবে বজায় থাকবে এবিষয়ে প্রশ্ন থেকেই যায়।
স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ মনে করেন রাবিপ্রবি যেহেতু পাহাড়ি অঞ্চলে অবস্থিত একটি বিশ্ববিদ্যালয় এখানে সকল সম্প্রদায়ের শিক্ষার্থী পড়াশোনা করে, তাই সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখতে হলে বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরে যেকোনো সাম্প্রদায়িক গ্রাফীতি বা উস্কানিমূলক দেয়ালিকা লেখা থেকে বিরত থাকা উচিত।
উল্লেখ্য যে উক্ত গ্রাফিতি অংকনের সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের ফরেস্ট্রি এন্ড ইনভারমেন্টাল সাইন্স বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ড. সুপ্রিয় চাকমাও উপস্থিত ছিলেন। উক্ত ঘটনার সাথে তিনিও জড়িত রয়েছেন বলে আশংকা করা যাচ্ছে।