বঙ্গনিউজবিডি ডেস্ক : রাশিয়া ও ইউক্রেন যুদ্ধের ফলে দেশের গ্যাসের দাম বাড়ানো হচ্ছে বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। বুধবার (২৩ মার্চ) সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিপরিষদ কমিটির সভা শেষে ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন মন্ত্রী।
তিনি বলেন, আমরা কখনও কল্পনা করিনি যে ইউক্রেন-রাশিয়ার মধ্যে যুদ্ধ হবে। এই দুই দেশে যুদ্ধের কারণে বিশ্ব অর্থনীতিতে প্রভাব পড়েছে। যার ফলে অনেক জিনিসের দাম বেড়ে গেছে। এই যুদ্ধের প্রভাবে দেশে গ্যাসের দাম বেড়ে যাচ্ছে।
সিপিডি নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, আমাদের এখানে কোনো সমস্যা নেই। সমস্যা হলো সিপিডির। আশপাশের দেশের তুলনায় আমাদের মূল্যস্ফীতি অনেক কম। আমাদের মূল্যস্ফীতি যখন ৬ এর নিচে ছিল তখনও সিপিডি বলেছে দেশের মূল্যস্ফীতি বেশি। দেশের অর্থনীতি কেবল সিপিডি বুঝে, বিষয়টি এমন নয়। আরও অনেকেই অর্থনীতি বোঝেন। এ সময় তিনি দেশের অর্থনীতিতে সিপিডির অবদান রয়েছে বলেও উল্লেখ করেন।
আরেক প্রশ্নের জবাবে আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, আগামী বাজেটে কেউ লুজার হবে না, সবাই জিতবে। ব্যবসায়ীরাও উইনার হবে, জনগণও জিতবে, সরকারও জিতবে।
অর্থমন্ত্রী বলেন, সভায় পাঁচটি কুইক রেন্টাল প্রকল্পের মেয়াদ দুই বছর বাড়ানোর প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। তারা পাঁচ বছর সময় বাড়ানোর আবেদন করলেও আমরা দুই বছর সময় বাড়িয়েছি। নো বিদ্যুৎ নো পেমেন্ট হিসাবে সময় বাড়ানো হয়েছে। প্রকল্পগুলো অনুমোদন দেওয়ার সময় একটা সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছিল। যেখানে বলা হয়েছিল কেউ বিদ্যুৎ না নিলেও সরকার বিদ্যুৎ কিনবে। আগামী এক বছরের মাথায় অতিরিক্ত তিন হাজার মেগাওয়াট নতুন বিদ্যুৎ পাওয়া যাবে। তখন আস্তে আস্তে কুইক রেন্টালের প্রয়োজনীয়তা কমে আসবে বলে জানান তিনি।
তিনি বলেন, সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটিতে ১১টি প্রস্তাব উত্থাপন করা হয়। উপস্থাপিত ১১টি প্রস্তাবই অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। অনুমোদিত প্রস্তাবগুলোর মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ৭ হাজার ৫৭২ কোটি ৭২ লাখ টাকা। এর মধ্যে সরকারি তহবিল থেকে ৭ হাজার ১৩৫ কোটি ৯৯ লাখ টাকা এবং দেশীয় ব্যাংক ও বিশ্বব্যাংক থেকে ৪৩৬ কোটি ৭৩ লাখ টাকা ব্যয় করা হবে।