বঙ্গনিউজবিডি ডেস্ক : প্রতারণার মামলায় গ্রেপ্তারের পর রিমান্ডে পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদে নিজের সব দোষ স্বীকার করে নিয়েছেন গায়ক মঈনুল আহসান নোবেল।
রোববার ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (ডিবি) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ এ তথ্য জানিয়ে বলেন, এক দিনের রিমান্ড মঞ্জুরের পর নোবেল তার সব দোষ স্বীকার করে নিয়েছেন। একইসঙ্গে নিজের স্ত্রীর ওপর করা নির্যাতন এবং টাকা নিয়েও বিভিন্ন শোতে অংশ না নেয়ার ঘটনায় দোষ স্বীকারের পাশাপাশি অনুতাপ প্রকাশ করেছেন নোবেল।
তিনি বলেন, রিমান্ডে নোবেল তার ভুল স্বীকারের পাশাপাশি এসব ঘটনায় দুঃখ প্রকাশও করেছেন।
এর আগে, শনিবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আহমেদ হুমায়ুন কবীর এ রিমান্ড মঞ্জুর করেন। তার আগে রাজধানীর মতিঝিল থানায় দায়ের হওয়া প্রতারণার মামলায় নোবেলকে গ্রেপ্তার করে ডিবি পুলিশ সুষ্ঠু তদন্তের জন্য তিনদিনের রিমান্ড আবেদন করে আদালতে সোপর্দ করে। নোবেলের আইনজীবী জামিন আবেদন করেন। শুনানি শেষে আদালত একদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এদিকে নোবেলের সাবেক স্ত্রী সালসাবিল সাংবাদিকদের জানিয়েছেন তিনি আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। আইন যা করবে সেটাই তিনি মেনে নেবেন।
এর আগে তিনি অভিযোগ করেছিলেন, মাদক চক্রের ফাঁদে পড়েই নোবেলের বর্তমান অবস্থা। এই চক্রে একটি আন্তর্জাতিক এয়ারলাইন্সে কর্মরত এক এয়ার হোস্টেসও জড়িত। নোবেল সুস্থ হয়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসুক…আবারও সংগীতচর্চা করুক, এমনটাই চান তিনি।
উল্লেখ্য, গত ১৬ মে শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জ হেডকোয়ার্টার পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের এসএসসি ব্যাচ ২০১৬-এর প্রতিনিধি মো. সাফায়েত ইসলাম বাদী হয়ে একটি প্রতারণার মামলা করেন। পরদিন ১৭ মে আদালত এ মামলার এজাহার গ্রহণ করে ৯ জুলাই প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন।
এজাহারে বলা হয়, গত ২৮ এপ্রিল শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জ হেডকোয়ার্টার পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের এসএসসি ব্যাচ ২০১৬-এর প্রথম পুনর্মিলনীর আয়োজন করা হয়। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে গান গাওয়ার জন্য মঈনুল আহসান নোবেলের সঙ্গে ১ লাখ ৭৫ হাজার টাকার চুক্তি করা হয়। পরে নোবেলকে বিভিন্ন সময়ে মোট ১ লাখ ৭২ হাজার টাকা দেয়া হয়। তবে নোবেল অনুষ্ঠানে না গিয়ে প্রতারণা করে এ অর্থ আত্মসাৎ করেন।