বঙ্গনিউজবিডি ডেস্ক:গ্রেপ্তার নেতাদেরকে রিমান্ডে নিয়ে নির্যাতনে তথ্য পেয়েছে হেফাজতে ইসলাম। এটি মেনে নেয়া হবে না বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছে সংগঠনটি।
নেতাদেরকে রমজান মাসে ইবাদত-বন্দেগী করার সুযোগ করে দেয়ারও দাবি জানানো হয়েছে।
সাম্প্রতিক তাণ্ডব ও ২০১৩ সালের ৫ মে শাপলা চত্বরে নাশকতার মামলায় সংগঠনের গ্রেপ্তার করা ১১ নেতার মুক্তির দাবিতে মঙ্গলবার গণমাধ্যমে বিবৃতি পাঠায় হেফাজত।
এতে বলা হয়, ‘সরকার দেশে লকডাউন দিয়ে আলেম-উলামাদের হয়রানি করার নীলনকশা তৈরি করেছে। লকডাউনকে হাতিয়ার বানিয়ে গ্রেপ্তার আর হয়রানির এক মহোৎসবে মত্ত সরকার। এই গ্রেপ্তর তামাশা বন্ধ করুন। আমরা অনতিবিলম্বে গ্রেপ্তারকৃত নেতাকর্মীদের মুক্তির দাবি জানাচ্ছি।’
বিবৃতিতে বলা হয়, ‘আমরা শুনতে পাচ্ছি, গ্রেপ্তারকৃত নেতৃবৃন্দকে রিমান্ডে দিয়ে নির্যাতন করা হচ্ছে। রিমান্ডে নিয়ে নেতৃবৃন্দকে নির্যাতন হেফাজতে ইসলাম মেনে নেবে না।’
বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সফরের বিরোধিতায় মাঠে নামা হেফাজত কর্মীরা গত ২৬ মার্চ হঠাৎ সহিংস হয়ে উঠে। ২৮ মার্চের হরতালে নারায়ণগঞ্জ, ব্রাহ্মণবাড়িয়াসহ বিভিন্ন শহরে তাদের তাণ্ডব ছিল আরও বেশি।
৩ এপ্রিল নারায়নগঞ্জের সোনারগাঁয়ের রয়্যাল রিসোর্টে নারী নিয়ে হেফাজত নেতা মামুনুল হক অবরুদ্ধ হওয়ার পরেও ওই এলাকাসহ বিভিন্ন এলাকায় ত্রাস তৈরি করে হেফাজত সমর্থকরা।
এরপর সরকার সতর্ক করে দেয় সংগঠনটিকে। আর ১১ এপ্রিল থেকে শুরু হয় গ্রেপ্তার অভিযান। প্রথমে ধরা পড়েন সাংগঠনিক সম্পাদক আজিজুল হক ইসলামাবাদীকে।
ঢাকা মহানগরের সভাপতি জুনায়েদ আল হাবীব ও আলোচিত নেতা মামুনুল হকসহ এখন পর্যন্ত গ্রেপ্তার হয়েছেন ১১ জন।
গ্রেপ্তার অভিযান শুরুর আগে হেফাজত নেতারা ‘একজনের গায়ে হাত দিলে’ ব্যাপক আন্দোলনে নামার হুমকি দিলেও পরে চুপসে যায়।
মামুনুল গ্রেপ্তারের পর দিন ভিডিও বার্তায় হেফাজত আমির জুনায়েদ বাবুনগরী ‘মাননীয় সরকার’ সম্বোধন করে গুজবে কান না দিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান। বলেন, তারা সরকার হটানোর কোনো চেষ্টায় জড়িত না।
তাণ্ডবের ঘটনায় প্রথমবারের মতো দুঃখ প্রকাশ করে কর্মী সমর্থকদের শান্ত থাকারও আহ্বান জানান বাবুনগরী।
এর মধ্যে রাতে হেফাজতের মহাসচিব নুরুল ইসলামসহ ১০ শীর্ষ নেতা দেখা করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামালের সঙ্গে। গ্রেপ্তার অভিযান বন্ধ করার অনুরোধ করেন। তবে মন্ত্রী জানিয়ে দেন আইন অনুযায়ী সব চলবে।
হেফাজতে ইসলাম ঢাকা মহানগরীর সভাপতি মাওলানা জুনায়েদ আল হাবীব ও সেক্রেটারী মাওলানা মামুনুল হকসহ গ্রেপ্তার সব হেফাজত নেতাকর্মীর মুক্তির দাবি জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর হেফাজতের নেতারা