বঙ্গনিউজবিডি ডেস্ক : রিমান্ডে স্ত্রী মাহমুদা খানম মিতু হত্যার কথা স্বীকার করেছেন পুলিশের সাবেক এসপি বাবুল আক্তার। চট্টগ্রামের আদালতে দেওয়া আবেদনে এ দাবি করেছে পিবিআই। কিন্তু বাবুল আক্তারকে আদালতে নেওয়ার পর তিনি ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তি দিতে রাজি হননি। পরে তাকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।
সোমবার বিকাল ৩টার দিকে আদালত থেকে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।
এর আগে সকাল ১০ টায় তাকে আদালতে আনা হয়। পিবিআই আদালতে দেওয়া আবেদনে বলেছে, রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদে বাবুল আক্তার স্ত্রীকে হত্যার কথা স্বীকার করেন। বিষয়টি লিখিতভাবে উল্লেখ করে পিবিআই ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি গ্রহণের জন্য আদালতে আবেদন করে। আবেদনের পর মামলার আসামি বাবুল আক্তারকে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সারোয়ার জাহানের খাসকামরায় নিয়ে যাওয়া হয়।
প্রায় ৪ ঘণ্টা অবস্থান করার পর বাবুল আক্তার বলেন, তিনি ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেবেন না। এ অবস্থায় রিমান্ডের আবেদন না থাকায় তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন আদালতের বিচারক।
পিবিআই সূত্র বলছে, আদালতে তার ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু অনেক নাটকীয়তার পর শেষ মুহূর্তে তিনি জবানবন্দি দিতে অস্বীকৃতি জানালে আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। তবে কারাগারে পাঠানো হলেও পিবিআই আবারও বাবুল আক্তারকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রিমান্ডে নিতে পারে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে।
বাবুলের ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি গ্রহণের জন্য আদালতে আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পিবিআই চট্টগ্রামের পরিদর্শক সন্তোষ কুমার চাকমা। আবেদনে উল্লেখ করা হয়, মামলাটি চাঞ্চল্যকর। রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদে আসামি বাবুল আক্তার তার স্ত্রীকে খুনের কথা স্বীকার করেছেন। তিনি জবানবন্দি দিতে রাজি হওয়ায় তাঁর জবানবন্দি গ্রহণের জন্য আবেদন করা হলো।
পিবিআই চট্টগ্রাম মেট্রো অঞ্চলের সুপার নাঈমা সুলতানা যুগান্তরকে জানান, ‘বাবুল আক্তারকে তারা আবারও রিমান্ডের জন্য আবেদন জানাবেন। কারণ এখনো অনেক তথ্য ও খুনিদের সম্পর্কে জানার বাকি আছে।’
গত ১১ মে মিতু হত্যা মামলার বাদী বাবুল আক্তারকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হেফাজতে নেয় পিবিআই। ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম আসার পর পিবিআই মেট্রো কার্যালয়ে রেখে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পিবিআই পরিদর্শক সন্তোষ কুমার চাকমা। দিনভর জিজ্ঞাসাবাদ শেষে এ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে বাবুল আক্তারের সম্পৃক্ততার প্রমাণ পাওয়ায় তাকে হেফাজতে নেওয়া হয়। আগের মামলায় ফাইনাল রিপোর্ট দেওয়ার পর বাবুল আক্তারকে প্রধান আসামি করে ৮ জনের বিরুদ্ধে নতুন হত্যা মামলা দায়ের করেন মিতুর বাবা মোশাররফ হোসেন। এ মামলায় বাবুল আক্তারকে ১২ মে গ্রেফতার দেখানো হয়। একই সঙ্গে আদালত থেকে ৫ দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়।