দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নারায়নগঞ্জের রূপগঞ্জের অধিকাংশ কেন্দ্রে পুরুষ ভোটারের তুলনায় নারী ভোটারদের লম্বা লাইন দেখা গেছে। নির্বাচনে নৌকার পক্ষে এই সকল নারী ভোটারদের দিয়ে কারচুপির অভিযোগ উঠেছে। এছাড়াও, কৃত্রিম উপায়ে ভোট স্লো করার চেষ্টা করা হচ্ছে বলে অভিযোগ রয়েছে। এতে ভোট গ্রহন গতি অনেকটাই স্লো হয়ে পড়েছে। অনেক কেন্দ্রে লাইনের সামনের দিকে থাকা ভোটারদের ভোট গ্রহণ শেষ হতে প্রায় ঘণ্টা খানেক সময় লেগে যায়। নারী ভোটারদের দিয়ে নৌকার বেলটে সীল মারানোর অভিযোগ উঠেছে।
রবিবার (৭ জানুয়ারি) রূপগঞ্জের বিভিন্ন কেন্দ্রে ঘুরে দেখা গেছে, অনেক কেন্দ্রে নারী ভোটারদের লাইনের শেষটা কেন্দ্রের বাইরে চলে গেছে। এদিকে নারী ভোটারদের দিয়ে নৌকার বেলটে সীল মারানোর অভিযোগ উঠেছে। কাঞ্চন ভারত চন্দ্র উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে মহিলাদের ১নং বুথে দুইজন নারী ভোটারকে একসাথে সিল মারতে দেখা গেছে। এই বুথে নৌকার এজেন্ট ছাড়া আর কোন প্রার্থীর এজেন্ট ছিল না।
রুপগঞ্জের চনপাড়ায় আল আমীন মডেল একাডেমি কেন্দ্রে পুরুষ ভোটারের দেখা নেই। কিন্তু সেই তুলনায় নারী ভোটারের উপস্থিতি ছিল বেশি। যদিও মহিলাদের লাইনে ভোট দেয়ার ধীর গতি লক্ষ্য করা গেছে। এই কেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসার মো মাসুদ রানা বলেছেন, এ কেন্দ্রে সোনালী আশ মার্কার এজেন্ট ব্যতীত বাকি সকল প্রার্থীর কমবেশি এজেন্ট আছে। এর মধ্যে কেটলির দুইজন এজেন্ট আছে। দুপুর বারোটা পর্যন্ত এই ভোটকেন্দ্রে ১৩১৬ টি ভোট পড়েছে। এর মধ্যে নারীদের ভোট পড়েছে ৭০১ টি এবং পুরুষদের ভোট পড়েছে ৬১৫ টি। এই কেন্দ্রে সর্বমোট ভোটার সংখ্যা ৩ হাজার ৩৮৯ জন।
যদিও এই কেন্দ্রে নারী ভোটার ছাড়া তেমন একটা পুরুষ ভোটার দেখা না গেলেও দুপুর ১২ টা পর্যন্ত এত বেশি সংখ্যক পুরুষ ভোটার ভোট দেয়াকে অস্বাভাবিক মনে করছে অন্যান্য প্রার্থীর এজেন্টরা।