বঙ্গনিউজবিডি ডেস্ক: মহামারি করোনাভাইরাসের কারণে ফ্র্যাঞ্চাইজি ভিত্তিক প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট টুর্নামেন্ট বাংলাদেশ ক্রিকেট লিগ (বিসিএল) এর ২০২০-২১ মৌসুম মাঠে গড়ায়নি। তবে ২০২১-২২ মৌসুম গতকাল শুক্রবার থেকে শুরু হওয়ার কথা ছিল।
কিন্তু দুদিন পিছিয়ে আগামীকাল রোববার (১২ ডিসেম্বর) থেকে দুটি ভেন্যুতে শুরু হতে যাচ্ছে এবারের আসর। শনিবার বিকেলে এক ই-মেইল বার্তায় বিষয়টি নিশ্চিত করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)।
প্রথম রাউন্ডে (১২-১৫ ডিসেম্বর) চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে লড়বে দুইবারের চ্যাম্পিয়ন ওয়ালটন সেন্ট্রাল জোন ও বিসিবি নর্থ জোন। আর রাজশাহীর শহীদ কামারুজ্জামান স্টেডিয়ামে মুখোমুখি হবে বিসিবি সাউথ জোন ও ইসলামী ব্যাংক ইস্ট জোন।
১৯ থেকে ২২ ডিসেম্বর হবে দ্বিতীয় রাউন্ডের খেলা। এই রাউন্ডে মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে মুখোমুখি হবে ওয়ালটন সেন্ট্রাল জোন ও ইসলামী ব্যাংক ইস্ট জোন। অন্যদিকে জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে লড়বে বিসিবি সাউথ জোন ও বিসিবি নর্থ জোন।
তৃতীয় ও শেষ রাউন্ড হবে ২৬ থেকে ২৯ ডিসেম্বর। এই রাউন্ডে চট্টগ্রামে মুখোমুখি হবে বিসিবি সাউথ জোন ও ওয়ালটন সেন্ট্রাল জোন। আর ইসলামী ব্যাংকের মুখোমুখি হবে বিসিবি নর্থ জোন।
২ থেকে ৬ জানুয়ারি মিরপুরে হবে ফাইনাল। এর আগে গেল ২৫ নভেম্বর বিসিএলের এবারের আসরের প্লেয়ার ড্রাফট অনুষ্ঠিত হয়। ড্রাফটের আগে প্রত্যেক ফ্র্যাঞ্চাইজি আগের মৌসুমে তাদের হয়ে খেলা ৬ জন করে খেলোয়াড় রেখে দেয়। এরপর ড্রাফটে অংশ নেয়।
ওয়ালটন সেন্ট্রাল জোন রেখে দেয়- শুভাগত হোম চৌধুরী, তাইবুর রহমান পারভেজ, আব্দুল মজিদ, শহিদুল ইসলাম, সৌম্য সরকার ও মুকিদুল ইসলাম মুগ্ধকে।
তারা ড্রাফট থেকে দলে ভেড়ায়— মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত, হাসান মুরাদ, রবিউল হক, মিজানুর রহমান, জহুরুল ইসলাম, মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরী, জাকের আলি অনিক, সালমান হোসেন ইমন, আবু হায়দার রনি, মনির হোসেন, মুনিম শাহরিয়ার, আল আমিন জুনিয়র, মোহাম্মদ মিঠুন, নাজমুল ইসলাম অপু, আব্দুল হালিম, রাকিবুল হাসান নয়ন, মাহমুদুল হাসান জয় ও নাজমুল হোসেন শান্ত।
অন্যদিকে বিসিবি সাউথ জোন রেখে দেয়- ফজলে মাহমুদ রাব্বি, এনামুল হক বিজয়, মেহেদী হাসান, কামরুল ইসলাম রাব্বি, ফরহাদ রেজা ও নাসুম আহমেদকে।
আর ড্রাফট থেকে দলে নেয়- অমিত হাসান, তৌহিদ হৃদয়, পিনাক ঘোষ, জাকির হাসান, মোস্তাফিজুর রহমান, নাহিদুল ইসলাম, সুমন খান, এনামুল হক জুনিয়র, সালাউদ্দিন শাকিল, মাইশুকুর রহমান, জাহিদ জাবেদ, জিয়াউর রহমান, শামসুল ইসলাম অনিক, নুরুল হাসান সোহান ও মেহেদী হাসান মিরাজকে।
ইসলামী ব্যাংক ইস্ট জোন তাদের হয়ে আগের মৌসুমে খেলা- তামিম ইকবাল, মুমিনুল হক, ইমরুল কায়েস, নাঈম হাসান, আফিফ হোসেন ও ইয়াসির আলি চৌধুরী রাব্বিকে দলে রেখে দেয়।
ড্রাফট থেকে দলে ভেড়ায়- মোহাম্মদ নাইম শেখ, তানভীর ইসলাম, শাহাদত হোসেন দীপু, ইরফান শুক্কুর, মোহাম্মদ এনামুল হক, রনি তালুকদার, রুয়েল মিয়া, মোহাম্মদ ইফরান হোসেন, সোহরাওয়ার্দী শুভ, আলাউদ্দিন বাবু, প্রীতম কুমার, রুবেল হোসেন, মোহাম্মদ আশরাফুল, মাহমুদুল হাসান, আসাদুজ্জামান পায়েল, নাদিফ চৌধুরী, মুশফিকুর রহিম ও রেজাউর রহমান রাজাকে।
আর বিসিবি নর্থ জোন রিটেইন করে- আরিফুল হক, নাঈম ইসলাম, সানজামুল ইসলাম, মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন, মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন ও তানবীর হায়দার খানকে।
তারা ড্রাফট থেকে দলে টানে- তানজীদ হাসান তামিম, সৈয়দ খালেদ আহমেদ, পারভেজ হোসেন ইমন, শফিকুল ইসলাম, শামীম হোসেন পাটোয়ারী, মোহাম্মদ শরিফউল্লাহ, মার্শাল আইয়ুব, আমিনুল ইসলাম বিপ্লব, আকবর আলী, নোমান চৌধুরী, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, জুনায়েদ সিদ্দিকী, ইমরানুজ্জামান, একেএস স্বাধীন, লিটন কুমার দাস ও তাসকিন আহমেদ।
আগের আট আসরের মধ্যে মধ্যে ওয়ালটন সেন্ট্রাল জোন দুটি আসরের শিরোপা জিতে। তারা ২০১২-১৩ ও ২০১৫-১৬ মৌসুমে চ্যাম্পিয়ন হয়। সবচেয়ে বেশি পাঁচবার চ্যাম্পিয়ন হয় বিসিবি সাউথ জোন। তারা ২০১৩-১৪, ২০১৪-১৫, ২০১৭-১৮, ২০১৮-১৯ ও ২০১৯-২০ মৌসুমে শিরোপা জিতে। বিসিবি নর্থ জোন একবার চ্যাম্পিয়ন হয় এবং সেটা ২০১৬-১৭ মৌসুমে। এবার শিরোপা কারা ঘরে তোলের দেখার বিষয়।