বঙ্গনিউজবিডি ডেস্ক: সরকার নামেমাত্র লকডাউন দিয়েছে মন্তব্য করে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘লকডাউনের আড়ালে তারা ক্রাকডাউন দিয়েছে। সরকারের করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধ করার কোনো ইচ্ছা নেই। এখানে দুটি সুবিধা পায় তারা। একটা হলো মানুষ যদি মরে যায় মরুক, আর অন্যটা হলো সরকারি হাসপাতাল বা স্বাস্থ্যখাতে বিরাট দুর্নীতির সুযোগ সৃষ্টি করা।’
সোমবার সকালে ঠাকুরগাঁওয়ের কালিবাড়িস্থ নিজ বাসভবনে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন।
ফখরুল বলেন, ‘২৬ মার্চ ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফরকে কেন্দ্র করে সরকার নিজেরাই বিভিন্ন ঘটনা ঘটিয়ে সেটি বিরোধীদের ওপর চাপাচ্ছে। বিরোধীদের ওপরে মামলা দিয়ে গণগ্রেপ্তার করেছে। গ্রেপ্তারদের ঈদের মধ্যেও জামিন দেয়া হয়নি।’
করোনাভাইরাস মোকাবিলায় সরকার সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছে মন্তব্য করে ফখরুল বলেন, ‘তাদের কোনো যোগ্যতা নেই। এতে তারা প্রমাণ করে দিয়েছে তারা একটা ব্যর্থ সরকার। তারা শুধু দুর্নীতির জন্য, লুটপাটের জন্যই আজকে জনগণকে দুর্ভোগে ফেলেছে। আমরা সরকারকে অনেক আগে থেকেই বলে আসছি করোনা মোকাবিলায় কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করতে। কিন্তু সরকার তাতে কর্ণপাত করেনি। এখানে সরকারের চরম ব্যর্থতা ও উদাসীনতা শুধু বলব না, এটা হচ্ছে তাদের অজ্ঞানতা এবং সম্পূর্ণ ব্যর্থতা।’
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘ঈদের জন্য সরকার মাত্র তিনদিন ছুটি ঘোষণা করেছে। কিন্তু মানুষ তো থেমে নেই। দুর্ভোগের মধ্যে অতিরিক্ত টাকা খরচ করে তারা বাড়িতে গেছে। ছুটি শেষে তাড়াহুড়ো করে ঢাকায় ফিরছে। যাদের নিজেদের গাড়ি আছে তাদের কোনো সমস্যা নেই। কিন্তু সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েছে সাধারণ মানুষ।’
প্রনোদনার টাকা লুটপাট হচ্ছে অভিযোগ করে ফখরুল বলেন, ‘প্রণোদনার টাকা তারা নিজেরাই লুটপাট করে খায়। আমরা প্রথম থেকে বলে আসছি এখানে জনসাধারণকে সম্পৃক্ত করতে হবে। এখানে রাজনৈতিক, সামাজিক সংগঠন ও এনজিওদের সম্পৃক্ত করতে হবে।’
এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, জেলা বিএনপির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা তৈমুর রহমান, সহ-সভাপতি আল মামুন আলম, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান সারোয়ার চৌধুরী, দপ্তর সম্পাদক মামুনুর রশিদ, থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল হামিদ, জেলা যুবদলের সভাপতি চৌধুরী মাহেবুল্লাহ আবু নুর, সাধারণ সম্পাদক মাহাবুব হোসেন তুহিন, স্বেচ্ছাসেবকদলের সভাপতি সরকার নুরুজ্জামান নুরুসহ বিএনপির বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।