বঙ্গনিউজবিডি ডেস্ক : করোনাভাইরাস সংক্রমণের বিস্তার রোধে চলমান কঠোর লকডাউন ১০ আগস্ট পর্যন্ত বাড়িয়েছে সরকার। এই লকডাউনে তথ্যপ্রযুক্তি খাতকে জরুরি সেবা খাতের আওতায় আনা হয়েছে।
মঙ্গলবার ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত চিঠি দেওয়া হয়েছে। ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের উপসচিব ইসরাত জাহান স্বাক্ষরিত চিঠি থেকে জানা যায়, চিঠিটি ঢাকা বিভাগীয় কমিশনার, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার, সব জেলা প্রশাসক এবং ঢাকা জেলা পুলিশ সুপার বরাবর পাঠানো হয়েছে।
চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, তথ্যপ্রযুক্তির সব সেবা অনলাইনে দেয়ার সুযোগ নেই। এমতাবস্থায় বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সার্ভিসগুলো চালু রাখতে কম্পিউটার হার্ডওয়্যার পণ্য সরবরাহ এবং সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলোকে জরুরি সেবা প্রদানকারী হিসেবে বিবেচনা করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের নির্দেশনা অনুযায়ী প্রাতিষ্ঠানিক পরিচয়পত্র প্রদর্শন সাপেক্ষে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোতে কর্মরত জনবলের চলাচলের অনুমতি প্রদানের জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো।
উল্লেখ্য, তথ্যপ্রযুক্তি খাতকে জরুরি সেবার আওতায় আনার জন্য গত ১৭ জুলাই তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগে আবেদন জানায় বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতি (বিসিএস)। বিসিএসের সেই আবেদনের প্রেক্ষিতে এবারের লকডাউনে তথ্যপ্রযুক্তি খাতকে জরুরি সেবার আওতায় আনা হয়েছে।
বিসিএসের আবেদনে সাড়া দেওয়ায় সরকারের সংশ্লিষ্ট দফতর (মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ, ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়) কে ধন্যবাদ জানিয়ে বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতির সভাপতি মো. শাহিদ-উল-মুনীর বলেন, দেশে এখন এমন কোনো খাত নেই যেখানে তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহার নেই। প্রযুক্তি পণ্য এবং সেবা ব্যতীত নিরবিচ্ছিন্ন সেবা দেয়া প্রায় অসম্ভব। আমরা প্রথম থেকেই হার্ডওয়্যার খাত এবং সেবা প্রদানকে গুরুত্ব দেয়ার জন্য সরকারকে অবহিত করে এসেছি। প্রযুক্তি বিভাগের এই সিদ্ধান্তকে আমরা সাধুবাদ জানাই।
বিসিএস মহাসচিব মুহাম্মদ মনিরুল ইসলাম বলেন, বিসিএস সদস্যদের সর্বোচ্চ স্বাস্থ্যবিধি এবং করোনা মহামারি সংক্রান্ত অন্যান্য সব সরকারি নির্দেশনা মেনেই ব্যাবসায়িক কার্যক্রম পরিচালনা করার অনুরোধ করছি। এই ঘোষণার অপব্যবহার করে যেন আমাদের এই অর্জনকে আমরা ম্লান না করে ফেলি এ ব্যাপারেও আমাদের সতর্ক থাকা উচিত।