বঙ্গনিউজবিডি ডেস্ক : লকডাউনের বিধি-নিষেধ অমান্য করে ঘর থেকে বের হওয়ায় ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) ২৪৯ জনকে আটক এবং ৭৩ জনকে গ্রেপ্তর করেছে। আজ বৃহস্পতিবার (১লা জুলাই) দুপুর ১টা পর্যন্ত লকডাউন বাস্তবায়নে পুলিশ একযোগে রাজধানীতে বিভিন্ন এলাকায় টহল, চেকপোস্ট ও মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে এসব ব্যবস্থা নিয়েছে।
পুলিশ জানায়, লালবাগে ৩৮ জন, ওয়ারীতে তিনজন এবং উত্তরা থেকে ৩২ জনকে গ্রেপ্তর করা হয়েছে। এছাড়া তেজগাঁওয়ে ১৬৭ জন, মিরপুরে ৭৫ জন এবং গুলশানে ৭ জনকে আটক করেছে পুলিশ। এসময় আটজনকে সাজা দেয়া হয়েছে মোবাইল কোর্টে। মোট জরিমানা করা হয় ৬ হাজার ২০৭ টাকা।
অপরদিকে ২২২টি গাড়িকে মামলা এবং দুই লাখ ৯৭ হাজার একশ টাকা জরিমানা করা হয়। এসময় রেকার করা হয় ৪৬টি গাড়িকে। এদিকে অলিগলিতেও টহল জোরদার করছে পুলিশ। তবে কাঁচাবাজার ও নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের বাজারে স্বাস্থ্যবিধির ঢিলেঢালা অবস্থা দেখা গেছে। ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) মিরপুর বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) মাহাতাব উদ্দিন বলেন, লকডাউন বাস্তবায়নে পুলিশ কাজ করছে। আমরা নাগরিকদের ঘরে থাকার আহ্বান জানিয়েছি। অকারণে কেউ বের হলে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
করোনা সংক্রমণ মোকাবিলায় বৃহস্পতিবার থেকে ৭ দিনের কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করেছে সরকার। পুলিশের পাশাপাশি চেকপোস্ট বসিয়ে তৎপর রয়েছে সেনাবাহিনী, বিজিবি ও র্যাব।
জরুরি প্রয়োজন ছাড়া কেউ বের হলেই চেকপোস্টে জিজ্ঞাসাবাদের মুখে পড়তে হচ্ছে। হচ্ছে জেল-জরিমানাও। বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই রাজধানীর মোড়ে মোড়ে জনসমাগম ঠেকাতে ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে চেকপোস্ট বসিয়ে দায়িত্ব পালন করতে দেখা যায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের।
করোনা সংক্রমণ রোধে বিধিনিষেধকালীন মানুষকে ঘরে রাখতে বাধ্য করতে নতুন করে আরও ১০৬ জন কর্মকর্তাকে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা দিয়েছে সরকার।
তারা বলছেন, গ্রেপ্তরর, জরিমানা কিংবা জেল দেয়া তাদের মূল উদ্দেশ্য নয়। করোনার বিস্তার ঠেকাতে সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করতেই তারা কাজ করছেন।