বঙ্গনিউজবিডি ডেস্ক : বাংলাদেশের পাহাড় সমান টার্গেট সামনে রেখে পাল্টা জবাব দিচ্ছে শ্রীলঙ্কা। অধিনায়ক দিমুথ করুণারত্নে ক্রিজে আঁকড়ে আছেন। যদিও প্রথম উইকেটের লম্বা জুটি ভেঙ্গে দিন শেষে ৩ উইকেট নিয়েছে টাইগার বোলাররা। তিন দিনের খেলা শেষে বাংলাদেশ প্রথম ইনিংসে ৩১২ রানে এগিয়ে।
নিজেদের প্রথম ইনিংসে ৫৪১ রানে ইনিংস ঘোষণা করলে ব্যাট করতে নামে লঙ্কানরা। ব্যাট হাতে দুর্দান্ত সূচনা করেন দুই ওপেনার লাহিরু থিরিমান্নে এবং দিমুথ করুনারত্নে। ওপেনিং জুটিতে ১১৪ রান তুলেন তারা। ১২৫ বলে ৮টি চারে ৫৮ রান তুলে মেহেদি হাসান মিরাজের বলে এলবিডব্লিউ হয়ে সাজঘরে ফেরেন থিরিমান্নে। এরপর ওশাডা ফার্নান্ডোকে ফিরিয়েছেন তাসকিন আহমেদ। তার ক্যাচ ধরেন উইকেটকিপার লিটন দাশ। ২০ রানে আউট ওশাডা। তার বিদায়ে দিমুথ করুণারত্নের সঙ্গে ৪৩ রানের জুটি ভাঙে।
মেহেদি-তাসকিনের পর নিজের প্রথম উইকেট তুলেন টাইগার স্পিনার তাইজুল ইসলাম। তিনি আউট করেছেন শ্রীলঙ্কার অভিজ্ঞ অলরাউন্ডার অ্যাঞ্জোলা ম্যাথিউসকে।
এর আগে তৃতীয়দিনের খেলায় ফের ব্যাট করতে নামেন আগেরদিনের দুই অপরাজিত ব্যাটসম্যান মুশফিকুর রহিম এবং লিটন কুমার দাস। এদিন নেমেই ক্যারিয়ারের ২৩তম অর্ধশতক পূর্ণ করেন মুশি। এরপরই লিটনও ফিফটি পূর্ণ করেন। ৬৭ বলে ৫০ রান করে আউট হন লিটন। এরপর ব্যাট করতে নেমে ভালো করতে পারেননি মেহেদি মিরাজ ও তাইজুল ইসলাম। মিরাজ ৩ রানে এবং তাইজুল ২ রানে আউট হন। এরপর অষ্টম উইকেটে ব্যাট করতে নামা তাসকিন ইসলামকে সঙ্গে নিয়ে কিছুক্ষণ দলীয় স্কোরটা বাড়িয়ে নেন মুশফিক। ৬৮ রানে মুশি এবং ৬ রানে তাসকিন অপরাজিত থাকেন।
শ্রীলঙ্কার পক্ষে সর্বোচ্চ ৪টি উইকেট নেন বিশ্ব ফার্নান্দো। এছাড়া একটি করে উইকেট পান দুজন বোলার।
এর আগে ক্যান্ডির পাল্লেকেলে স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ অসাধারণ দুটি দিন উপহার দিয়েছে। টস জিতে শুরুতে ব্যাট হাতে প্রথম দিন শেষে সফরকারীদের পুঁজি ছিল ২ উইকেটে ৩০২ রান। নাজমুল হাসান শান্ত ১২৬ রানে এবং অধিনায়ক মুমিনুল হক ৬৪ রানে অপরাজিত থেকে দ্বিতীয় দিনের খেলা শুরু করেন। দ্বিতীয় দিনে শ্রীলঙ্কার মাটিতে সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে অ্যাওয়ে শতকের খরা কাটালো টেস্ট অধিনায়ক মুমিনুল হক। ২২৪ বলে ৯ বাউন্ডারিতে এই সেঞ্চুরি তুলেছেন টাইগার টেস্ট দলপতি।
দুর্দান্ত এক ইনিংস খেলে বিদায় নিলেন নাজমুল হোসেন শান্ত। প্রথম সেঞ্চুরিকে দেড়শ ছাড়িয়ে নেওয়ার পর ডাবলের দিকে এগোচ্ছিলেন বাঁহাতি ওপেনার। কিন্তু লাহিরু কুমারার বলে ফিরতি ক্যাচ তুলে দিলেন ১৬৩ রান করে। ভাঙলো মুমিনুল হকের সঙ্গে তার ২৪২ রানের রেকর্ড জুটি। যে কোনও উইকেটে পঞ্চম সর্বোচ্চ জুটি এটি। ৩৭৮ বলে ১৭ চার ও ১ ছয়ে সাজানো ছিল শান্তর ইনিংস। দেশের টেস্ট ইতিহাসে এটি নবম ব্যক্তিগত সেরা ইনিংস।
মুশফিকুর রহিমের সঙ্গে জুটিটা বড় করতে পারলেন না মুমিনুল হক। চতুর্থ উইকেট দুজনে মিলে খেলেছেন ৯৪ বল, রান এসেছে ৩০। ১২৭ রান করে আউট হয়েছেন মুমিনুল। দেশের বাইরে প্রথম সেঞ্চুরি উদযাপন করেন লাঞ্চের আগে। তার সঙ্গে নাজমুল হোসেন শান্ত ২৪২ রানে জুটি গড়ে বিদায় নেন। ৩০৪ বলের ইনিংসে ১১টি চার ছিল মুমিনুলের। ধনঞ্জয়া ডি সিলভার বলে লাহিরু থিরিমান্নের ক্যাচ হন তিনি।
শ্রীলঙ্কান মধ্যে বল হাতে একমাত্র সফল বোলার বিশ্ব ফার্নান্দো। ৭৫ রানের খরচায় ২টি উইকেট পেয়েফেন তিনি। এছাড়া আর কেউেই উইকেটের দেখা পাননি। এছাড়া একটি করে উইকেট পেয়েছেন ধনঞ্জয়া ডি সিলভা এবং লাহিরু কুমারা।