বঙ্গনিউজবিডি ডেস্ক: আইসিসি টি-২০ বিশ্বকাপের সুপার টুয়েলভ পর্বে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে নামার আগে বাংলাদেশের সেমিফাইনালের ক্ষীণ স্বপ্ন বেঁচে ছিল। তবে মাঠের লড়াইয়ে তা উবে যেতে সময় লাগেনি। ব্যাটে বলে হতাশাজনক পারফরম্যান্সে লজ্জার হার হেরেছে টাইগাররা।
বাংলাদেশের দেওয়া ৮৫ রানের লক্ষ্য ৪ উইকেট হারিয়েই পেরিয়ে যায় দক্ষিণ আফ্রিকা। বাকি ছিল আরো ৩৯ বল।
আগে ব্যাট করে প্রোটিয়া বোলারদের তোপে ২০ ওভারও টিকতে পারেনি বাংলাদেশ। ১৮.২ ওভারে অল আউট হওয়ার আগে টাইগাররা করতে পারে মাত্র ৮৪ রান। নিজেদের বিশ্বকাপ ইতিহাসে এটি তৃতীয় সর্বনিম্ন স্কোর। এ ম্যাচে বাংলাদেশের পাঁচজন ব্যাটসম্যান কোনো রানই করতে পারেননি।
বিশ্বকাপে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ সংগ্রহ ৭০ রান। ২০১৬ টি-২০ বিশ্বকাপে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে লজ্জার এই রেকর্ড গড়েছিল টাইগাররা। এছাড়া ২০০৭ বিশ্বকাপে শ্রীলংকার বিপক্ষে ৮৩ রানে অল আউট হয়েছিল লাল-সবুজরা।
বাংলাদেশের দেওয়া মামুলি লক্ষ্য তাড়া করতে নামেন কুইন্টন ডি কক ও রেজা হেন্ড্রিক্স। প্রথম ওভারেই তাসকিনের বলে লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়েন ৪ রান করা হেন্ড্রিক্স। এরপর নিজের প্রথম ওভারে আঘাত হানেন মাহেদী হাসান। তার বলে বোল্ড হওয়ার আগে কুইন্টন ডি কক করেন ১৬ রান।
আবু ধাবির জাইয়েদ ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নেন দক্ষিণ আফ্রিকা অধিনায়ক টেম্বা বাভুমা। বাংলাদেশের হয়ে ইনিংস উদ্বোধনে নামেন লিটন দাস ও নাইম শেখ। প্রথম ৩ ওভার দেখে খেললেও চতুর্থ ওভারে আর উইকেট পতন ঠেকাতে পারেনি টাইগাররা।
কাগিসো রাবাদা পরপর দুই বলে সাজঘরে ফেরান নাইম ও সৌম্য সরকারকে। নাইম ৯ রান করলেও সৌম্য গোল্ডেন ডাক মারেন। নিজের পরের ওভারে আবারো আঘাত হানেন রাবাদা। এবার মুশফিকুর রহিম রানের খাতা খোলার আগেই সাজঘরে ফেরেন।
সৌম্যের মতো প্রথম বলেই সাজঘরে ফেরেন আফিফ হোসেন। এর আগে ৩ রানে আউট হন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। একপ্রান্ত আগলে রেখে ইনিংস এগিয়ে নিচ্ছিলেন লিটন দাস। তবে তার প্রতিরোধ ভেঙে দেন তাবরাইজ শামসি। টাইগার ওপেনার ফেরার আগে করেন ২৪ রান।
বাকী পথে একাই লড়াই করেন মাহেদী হাসান। নবম উইকেট হিসেবে সাজঘরে ফেরার আগে দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ২৭ রান করেন তিনি। দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে কাগিসো রাবাদা ও আনরিখ নর্টজে তিনটি করে উইকেট শিকার করেন। এছাড়া তাবরাইজ শামসি দুটি ও ডোয়াইন প্রিটোরিয়াস একটি উইকেট নেন।