বঙ্গনিউজবিডি ডেস্ক : ঝালকাঠিতে মাঝ নদীতে লঞ্চে আগুনের ঘটনায় এবার সামনে এলো ৬ মাসের শিশুকে বাঁচানোর ঘটনা। লঞ্চে অগ্নিকাণ্ডের দিন নিখোঁজ হওয়া ৬ মাসের শিশুসন্তানকে নিজের বুকের দুধ খাইয়ে বাঁচালেন উদ্ধারকর্মী শিরিন আক্তার। কোনো বিনিময়ে নয়, সন্তানের প্রতি মায়ের ভালোবাসার দৃষ্টান্তমূলক কাজের জন্য বিভিন্ন মহলের প্রশংসায় ভাসছেন এ নারী।
গত ২৪ ডিসেম্বর অভিযান-১০ লঞ্চে আগুনের ঘটনায় যাত্রী মুন্নী আক্তার তার ৬ মাসের শিশু ইয়ামিনকে বাঁচাতে নদীর চরে ছুড়ে ফেলেন। পরে নিজেও নদীতে ঝাঁপ দিয়ে নিখোঁজ হন।
এ সময় দুর্ঘটনাস্থল দিয়াকূল এলাকার বাসিন্দা শিরিন বেগম নদীর চরে পানির মধ্যে শিশুটিকে কাঁদতে দেখে কোলে তুলে নেন। বাড়িতে নিয়ে সন্তানদের পোশাক পরিয়ে নিজের বুকের দুধ খাইয়ে মাতৃস্নেহ ও সেবা দিয়ে শিশুটিকে সুস্থ করে তোলেন। পরে সকালে শিশুটিকে তার মায়ের কাছে হাসপাতালে পৌঁছে দেন।
শিরিন বলেন, অনেক ভালোবাসা দিয়ে আমার নিজের সন্তানের মতো শিশুটিকে বুকের দুধ খাওয়াইয়া আমি সুস্থ করছি।
শুধু তাই নয়, দিয়াকূল গ্রামের এই নারী বিপদগ্রস্ত যাত্রীদের নদীর তীর থেকে বাড়ি নিয়ে সেবা দিয়ে হাসপাতালে পাঠাতেও সহযোগিতা করেছেন।
ওই নারী বলেন, আমরা নদী থেকে যাদের পারছি উদ্ধার করে আনছি।
শিরীনের এমন কাজে কৃতজ্ঞতা জানান শিশু ইয়ামিনের পরিবার। শিশুটির বাবা বলেন, ওখানের স্থানীয় লোক ওরে পেয়ে বাড়িতে নিছে। কাপড় পরাইছে, বুকের দুধ খাওইছে, তারপর পুলিশের মাধ্যমে আমার ছোট বাবুকে পাওয়া গেছে।
কেবল শিরিন একাই নন, ওই রাতে দিয়াকূল, চর বাটারকান্দা গ্রামের প্রতিটি বাড়ি এবং ঝালকাঠি শহরের অসংখ্য মানুষ উদ্ধার কাজে অংশ নেয়।