বঙ্গনিউজবিডি ডেস্ক: সংবাদ উপস্থাপনের সময় বিবিসির উপস্থাপিকা ইয়ালদা হাকিমকে সরাসরি ফোন দিয়েছেন তালেবান মুখপাত্র সুহেল শাহীন। তালেবান মুখপাত্রের ফোন পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে ইয়ালদা হাকিম দ্রুত গিয়ার স্যুইচ করে শাহীনকে লাউডস্পিকারে স্থানান্তর করেন।
২০ বছর পর তালেবানরা কাবুল বিজয় ঘোষণা করার বিষয়ে সেখানে প্রশ্ন করেন উপস্থাপিকা। তখন অস্ট্রেলিয়ান এক সাংবাদিক বলেন, ‘আমরা তালেবানের মুখপাত্র সুহেল শাহীনকে লাইনে পেয়েছি। শাহীন সাহেব, আপনি কি আমার কথা শুনতে পাচ্ছেন?’
যুদ্ধে যে ‘শান্তির’ প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, সেটি দিয়েই কথা বলা শুরু করেন তালেবান মুখপাত্র। এ সময় সুহেল শাহীন বলেন, ‘কোনো বিভ্রান্তি হওয়া উচিত নয়। আমরা নিশ্চিত, আফগানিস্তানের মানুষ কাবুল শহরে। তাদের সম্পত্তি এবং তাদের জীবন নিরাপদ। কারও প্রতিশোধ নেওয়া হবে না। আমরা জনগণের এবং এই দেশের সেবক।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের নেতৃত্ব আমাদের বাহিনীকে নির্দেশ দিয়েছে কাবুলের গেটে থাকতে, শহরে প্রবেশ না করার জন্য। আমরা শান্তিপূর্ণভাবে ক্ষমতা হস্তান্তরের অপেক্ষায় রয়েছি।’ প্রকাশ্যে মৃত্যুদণ্ড এবং বিচ্ছেদের শাস্তি ব্যবহার করতে পারেন না বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
এ সময় মুখপাত্র বলেন, ‘আমি এখনই বলতে পারছি না, এটা আদালতের বিচারক এবং আইনের ব্যাপার। ভবিষ্যতে সরকারের আইন অনুযায়ী বিচারক নিয়োগ করা হবে।’ এ ছাড়া দেশটি ইসলামী শরিয়া আইনের চরম সংস্করণে ফিরে আসবে বলেও জানান তিনি।
৩০ মিনিট সাক্ষাৎকারের সময় শাহীন বলেন, ‘অবশ্যই আমরা ইসলামী সরকার চাই।’ তিনি দাবি করেন, তালেবান নারীদের অধিকারকে সম্মান করবে এবং তাদের শিক্ষার সুযোগ দেবে।সূত্র : নিউয়র্ক পোস্ট