বঙ্গনিউজবিডি ডেস্ক: লোকসভা নির্বাচনের দামামা বাজার পর থেকেই ভোট প্রচারে নেমে পড়েছে প্রায় সব রাজনৈতিক দল। বিভিন্ন জনসভা থেকে বিপক্ষকে চলছে কড়া ভাষায় আক্রমণ। ভোট যত এগিয়ে আসছে, ততই বাড়ছে আক্রমণের ঝাঁঝ। রাজনৈতিক দলগুলি প্রার্থী ঘোষণা থেকে শুরু করে ইশতেহার প্রকাশও করছে। পিছিয়ে নেই কংগ্রেসও। সবেমাত্র ইশতেহার প্রকাশ করেছে হাত শিবির। ৫ এপ্রিল প্রকাশিত ইশতেহারে ফোকাস করা হয়েছে পাঁচটি ‘বিচারের স্তম্ভ’ এবং সেগুলির অধীনে ২৫টি গ্যারান্টি। শিক্ষানবিশের অধিকার, এমএসপি-র জন্য আইনি গ্যারান্টি, এসসি, এসটি এবং ওবিসি-র জন্য সংরক্ষণের ৫০ শতাংশের সীমা বাড়ানোর জন্য একটি সাংবিধানিক সংশোধনী পাস করা, দেশব্যাপী জাতিগণনা এবং অগ্নিপথ প্রকল্প বাতিল করা লোকসভা নির্বাচনে কংগ্রেসের প্রতিশ্রুতির মধ্যে অন্যতম ইশতেহার। ইশতেহার বেরোনোর ২৪ ঘন্টা যেতে না যেতেইপ্রাক্তন দলকে আক্রমণ করলেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা। ‘‘ভারত নয়, পাকিস্তানের জন্য ইশতেহার বানিয়েছে কংগ্রেস’’, এ ভাবেই নিজের পুরনো দলকে কটাক্ষ করলেন বিজেপি নেতা তথা অসমের মুখ্যমন্ত্রী।
তিনি দাবি করেন কংগ্রেসের তৈরি ইশতেহারে ক্ষমতায় এলে সমাজে ভেদাভেদ তৈরির কথা বলা হয়েছে। তিনি বলেন, “এটা তোষণের রাজনীতি। আমরা এর তীব্র সমালোচনা করি। ওই ইশতেহার দেখে মনে হচ্ছে এটা ভারতের নির্বাচনের জন্য নয়, বরং পাকিস্তানের জন্য তৈরি করা হয়েছে।”
তিনি আরও যোগ করেছেন, ‘‘দেশে কোনও ব্যক্তি, তিনি হিন্দু হোক বা মুসলিম কেউই তিন তালাককে ফিরিয়ে আনতে চান না। এমনকি, বাল্যবিবাহ বা বহুগামিতাকে সমর্থন করেন না। কিন্তু কংগ্রেস ক্ষমতায় এলে এরা সমাজকে বিভক্ত করে দেবে।’’
কংগ্রেসের ইশতেহারের সমালোচনা করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও । তার মতে, কংগ্রেসের ইশতেহারে মুসলিম লিগের ভাবনার প্রতিফলন রয়েছে। যদিও হিমন্তের মন্তব্যের পাল্টা জবাব দেন অসম কংগ্রেসের মুখপাত্র বেদব্রত বোরা। তার দাবি, হিমন্তের মতো দলবদলুরা কংগ্রেসের ধর্মনিরপেক্ষতার নীতি বুঝবেন না। তিনি বলেন, “শর্মা বহু বছর কংগ্রেসে ছিলেন, তারপরও দলের প্রধান নীতিই বুঝতে পারেননি। সেই কারণেই বিজেপিতে গিয়েছেন। গেরুয়া শিবিরের প্রতি নিজের আনুগত্য দেখানোর জন্য তিনি কংগ্রেসের সম্মানহানির চেষ্টা করেন ।”সূত্র : হিন্দুস্থান টাইমস