একই সময়ে সরকারি ও বেসরকারি ৬৩৯টি ল্যাবরেটরিতে ১০ হাজার ৮৯৯টি নমুনা সংগ্রহ ও ১১ হাজার ৪৮৬টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এ নিয়ে মোট নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা দাঁড়ালো ৭৩ লাখ ৭৬ হাজার ৩৭৪টি। নমুনা পরীক্ষায় নতুন রোগী শনাক্ত ৩ হাজার ৬৯৭ জন। এ নিয়ে মোট আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ১১ লাখ ৪০ হাজার ২০০ জন। ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষার তুলনায় শনাক্তের হার ৩২ দশমিক ১৯ শতাংশ।
বৃহস্পতিবার (২২ জুলাই) স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় এ ভাইরাসে সারাদেশে আরও ১৮৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে দেশে মোট মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ১৮ হাজার ৬৮৫ জনে।
২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন ৮ হাজার ৫৬৬ জন। এ পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়ে ওঠা রোগী ৯ লাখ ৬৯ হাজার ৬১০ জন।
গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত ১৮৭ জনের মধ্যে ঢাকায় ৭৫, খুলনায় ৪৪, চট্টগ্রামে ২৩, রাজশাহীতে ১০, বরিশালে ১১, সিলেটে ৪, রংপুরে ১৫ এবং ময়মনসিংহ বিভাগে ৫ জন মারা গেছেন।
মৃত ১৮৭ জনের মধ্যে পুরুষ ১১৭ এবং নারী ৭০ জন। এদের মধ্যে ২ জন বাসায় মারা গেছেন। বাকিরা হাসপাতালে।
বয়সভিত্তিক বিশ্লেষণে দেখা গেছে, মৃত ১৮৭ জনের মধ্যে দশোর্ধ্ব একজন, বিশোর্ধ্ব ৪ জন, ত্রিশোর্ধ্ব ২০ জন, চল্লিশোর্ধ্ব ১২ জন, পঞ্চাশোর্ধ্ব ৪৯ জন, ষাটোর্ধ্ব ৬৪ জন, সত্তোরোর্ধ্ব ২৭ জন, আশির্ধ্ব ৮ জন এবং নব্বই বছরের বেশি বয়সী ২ জন মারা যান।
বাংলাদেশে করোনা প্রথম শনাক্ত হয় গত বছরের ৮ মার্চ। এর ১০ দিন পর ভাইরাসটিতে একজনের মৃত্যুর তথ্য জানায় স্বাস্থ্য অধিদফতর।