অস্ট্রেলিয়া ইনিংসের তখন দশম ওভার চলছে। বেশ সেট হয়ে গেছেন সিরিজে এখন পর্যন্ত অস্ট্রেলিয়ার সবচেয়ে ধারাবাহিক ব্যাটসম্যান মিচেল মার্শ। শরিফুল ইসলামের ওই ওভারে দুটি বাউন্ডারিও হাঁকান তিনি।
তবে ওভারের পঞ্চম বলটিই মিস করেন মার্শ, লেগে যায় তার উরুতে। এরপরই যেন মেজাজ কিছুটা বিগড়ে যায় অসি ব্যাটসম্যানের। শরিফুলের দিকে তাকিয়ে দুই-একটা বাক্য ছুড়ে দেন।
কাছেই ফিল্ডিংয়ে দাঁড়িয়ে বিষয়টি খেয়াল করেন মাহমুদউল্লাহ। দলের তরুণ একজনকে এভাবে কথা শোনাবেন, আর অধিনায়ক হয়ে সেটা দেখবেন রিয়াদ? তা কী করে হয়!
মাহমুদউল্লাহ সামনে এগিয়ে আসেন। মার্শের চোখে চোখ রেখে জানতে চান কী হয়েছে। এরপর আঙুল তুলেও কিছু বলতে দেখা যায় রিয়াদকে। পরিস্থিতি সামাল দেন আম্পায়াররা।
মনে রাখার মতো ব্যাপার হলো, এরপর ওই শরিফুলের বলেই আউট হয়েছেন মার্শ। ’শত্রু’কে ফেরাতে পেরে টাইগার পেসারের উদযাপনও ছিল দেখার মতো। তবে মার্শের তখন আর কিছুই করার ছিল না। ফিফটি করে ফেরার পরই নিশ্চয়ই বুঝে গেছেন, দল চলে এসেছে হারের মুখে।
শেষ তিন ওভারে অস্ট্রেলিয়ার দরকার ছিল ৩৪ রান। মিরপুরের ধীরগতির পিচে সেটা আর করতে পারেনি অসিরা। হেরেছে ১০ রানে। সেইসঙ্গে দুই ম্যাচ বাকি থাকতেই খুইয়ে বসেছে সিরিজ।