1. bdweb24@gmail.com : admin :
  2. nemadmin@bongonewsbd24.com : :
  3. him@bdsoftinc.info : Staff Reporter : Staff Reporter
  4. info@wp-security.org : Security_64733 :
রবিবার, ২৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ১১:০৭ অপরাহ্ন
শিরোনামঃ
নেত্রকোনায় সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরকে সংবর্ধনা দিয়েছেন জেলা বিএনপি জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে ষড়যন্ত্র হচ্ছে – আমিনুল হক বান্দরবানে ১৩টি জনগোষ্ঠীকে নিয়ে বিএনপির বিশাল সমাবেশে জনস্রোত বাংলাদেশি হিসেবে নিজেকে পরিচয় দিতে আমি গর্ববোধ করি– পার্বত্য উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা বিএনপি এমন একটা ভালো নির্বাচন চায়, যা গত ১৭ বছর হয়নি – ঠাকুরগাঁওয়ে শামসুজ্জামান দুদু বান্দরবান লামা উপজেলায় মডেল মসজিদের শুভ উদ্বোধন বীরগঞ্জে স্বচ্ছ নিয়োগ এর মিথ্যা ভিত্তিহীন অভিযোগ ও ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ আগামী মঙ্গলবারই সরকারে শেষ দিন নাহিদের ফের যুদ্ধবিরতি চুক্তি লঙ্ঘন, ফিলিস্তিনিদের মুক্তি আটকে দিলেন নেতানিয়াহু মৌলিক চাহিদার অন্যতম আবাসন খাতে স্থবিরতা চরমে

শাওয়াল মাসের গুরুত্বপূর্ণ চারটি বিশেষ আমল

রিপোর্টার
  • আপডেট : বুধবার, ৩ মে, ২০২৩
  • ১৫০ বার দেখা হয়েছে

বঙ্গনিউজবিডি ডেস্ক: শাওয়াল আরবি চান্দ্রবর্ষের দশম মাস, এটি হজের তিন মাসের প্রথম মাস, যার প্রথম তারিখে ঈদুল ফিতরের নামাজ ও সদকাতুল ফিতর আদায় করা ওয়াজিব। এ মাসে সংশ্লিষ্ট রয়েছে হজের মাস এবং তার আগে রয়েছে পবিত্র রমজানুল মোবারক। যাতে রয়েছে এক মাস পূর্ণাঙ্গ সিয়াম সাধনা, সদকা, জাকাত ও বরকতময় রজনী লাইলাতুল কদরসহ দিন-রাত্রির নির্ধারিত ইবাদত। শাওয়াল আরবি শব্দ, যার অর্থ হলো উঁচু করা, উন্নত করা, পূর্ণতায় পৌঁছে দেওয়া, পরিপক্বতা ও স্থিতি লাভ করা এবং একে শাওয়ালুল মোকাররম বলা হয়। এ মাসে বিশেষ চারটি আমল রয়েছে।

প্রথম আমল : পবিত্র রমজানুল মোবারকের ছুটে যাওয়া রোজা সর্বাগ্রে এ মাসেই তা কাজা আদায় করে নেওয়া।

দ্বিতীয় আমল : শাওয়াল মাসের ছয়টি রোজা। কেননা প্রিয় নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন, যে ব্যক্তি রমজান মাসের রোজা পালনের পর শাওয়াল মাসের ছয়টি রোজা রাখবে সে যেন সারা বছরই রোজা রাখল এবং সে পরিমাণ সওয়াব লাভ করবে। (মুসলিম, তিরমিজি, আবু দাউদ)। আল্লামা ইবনে রজব (রহ.) বলেন, শাওয়াল মাসের রোজা রাখার তাৎপর্য অনেক। রমজানের পর শাওয়ালের রোজা রাখা রমজানের রোজা কবুল হওয়ার আলামতস্বরূপ। কেননা আল্লাহতায়ালা কোনো বান্দার আমল কবুল করলে তাকে পরেও অনুরূপ আমল করার তৌফিক দিয়ে থাকেন। নেক আমলের প্রতিদান বিভিন্ন রূপ। তার মধ্যে একটি হলো- পুনরায় নেক আমল করার সৌভাগ্য অর্জন করা। তাই নামাজ-রোজার আমলগুলো অন্যান্য মাসেও চালু রাখা চাই। যা একমাত্র শাওয়াল মাসের ছয় রোজা রাখার দ্বারাই সম্ভব। তবে ইবাদতের মোকাবিলায় সারা বছর সব রকমের গুনাহে লিপ্ত হওয়া থেকে বেঁচে থাকা জরুরি। কেননা এতে নাফরমানি ও অকৃতজ্ঞতা প্রকাশ পায়। হজরত সাওবান (রা.) থেকে বর্ণিত, রসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন : রমজানের রোজা ১০ মাসের রোজার সমতুল্য আর শাওয়ালের ছয় রোজা দুই মাসের সমান। সুতরাং এই হলো এক বছরের রোজা। যে ব্যক্তি রমজানের রোজা শেষ করে শাওয়াল মাসের ছয় রোজা রাখবে, সেটা তার জন্য পুরো এক বছরের রোজা রাখার সমতুল্য। (আহমদ, দারেমি)।

তৃতীয় আমল : শাওয়াল মাসে বিবাহ করা। আম্মাজান হজরত আয়েশা (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিস দ্বারা প্রমাণিত, শাওয়াল মাসে বিবাহ-শাদি করা সুন্নত। শুক্রবারে, জামে মসজিদে ও বড় মজলিসে অনুষ্ঠিত হওয়া সুন্নত। কারণ হজরত আয়েশা রাদিয়াল্লাহুতায়ালা আনহার বিয়ে শাওয়াল মাসের শুক্রবারে মসজিদে নববীতে হয়েছিল। বিবাহ একটি গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত। এ সম্পর্কে রসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন, বান্দা যখন বিবাহ করল তখন তার দীনদারী অর্ধেক পূর্ণ হয়ে গেল, অবশিষ্ট অর্ধেকের ব্যাপারে সে যেন আল্লাহকে ভয় করতে থাকে। (মিশকাত)। বিবাহের মাধ্যমে আল্লাহর রসুলের নির্দেশ পালন করা হয়। কেননা তিনি ইরশাদ করেন, বিবাহ করা আমার সুন্নত। অন্য হাদিসে এসেছে- তোমাদের মধ্যে যাদের সামর্থ্য আছে তারা বিবাহ কর। কারণ এর দ্বারা দৃষ্টি ও লজ্জাস্থানের হেফাজত হয়। (মিশকাত)। নবীজি ফরমান, তিন ব্যক্তির প্রতি আল্লাহপাকের সাহায্য আবশ্যক হয়ে যায়। এক. ওই দাস-দাসী যে নিজের মুক্তিপণ আদায় করতে চায়। দুই. ওই বিবাহকারী যে আপন চরিত্র রক্ষা করতে চায়। তিন. ওই মুজাহিদ যে আল্লাহর রাস্তায় জিহাদ করে। (মিশকাত)। রসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন, যে ব্যক্তি কোনো মহিলাকে তার আভিজাত্যের কারণে বিবাহ করবে আল্লাহতায়ালা তার অপমান অপদস্ততা অধিক হারে বৃদ্ধি করবেন। আর যে ব্যক্তি কোনো মহিলাকে তার ধন-সম্পদের লোভে পড়ে বিবাহ করবে আল্লাহতায়ালা তার দরিদ্রতাকে বৃদ্ধি করে দেবেন। আর যে ব্যক্তি কোনো মহিলাকে বিবাহ করবে তার বংশ কৌলিন্য দেখে, আল্লাহতায়ালা তার তুচ্ছতা ও হেয়তা বাড়িয়ে দেবেন। আর যে ব্যক্তি কোনো মহিলাকে শুধুমাত্র এ জন্য বিবাহ করবে যে সে তার স্ত্রীকে দেখে চক্ষু শীতল করবে, দৃষ্টি অবনত রাখবে এবং লজ্জাস্থানকে হেফাজত করবে অথবা আত্মীয়তা রক্ষা করবে- আল্লাহতায়ালা সেই নারী-পুরুষের দাম্পত্য জীবনে সুখ-শান্তিময় জান্নাতি নেয়ামত ও বরকত দান করবেন। যা দুনিয়া ও আখেরাতের উভয় জগতে চিরস্থায়ী সুখ-শান্তির পথ সুগম করবে। (তাবারানি)। নবীজি আরও ইরশাদ করেন, গোটা দুনিয়াটাই হলো সম্পদ আর দুনিয়ার শ্রেষ্ঠ সম্পদ হলো নেক্কার স্ত্রী। (মুসলিম)। নবীজি ইরশাদ করেন, যে বিবাহের মোহরানা কম হবে সেই বিবাহ বরকতময় হবে। কন্যাদায়গ্রস্ত পিতা ও পাত্রীপক্ষের ওপর চাপ সৃষ্টি করে যে কোনো প্রকার যৌতুক দেওয়া ও নেওয়া উভয়ের জন্যই হারাম। তদ্রƒপ পাত্রীপক্ষের ওপর বিবাহের খরচপাতি চাপিয়ে দেওয়াও নাজায়েজ। ইসলামিক বিবাহে বিজাতীয় কালচার অনুসরণ করে নাচ-গান বেপর্দা ইত্যাদি হারাম। বিবাহের পর পাত্র পক্ষের ওপর আল্লাহর শুকরিয়া আদায় করে সাধ্যমতো ওলিমা করা সুন্নত।

চতুর্থ আমল : শাওয়াল মাসে হজের প্রস্তুতি নেওয়া। কেননা যারা হজের নিয়ত করেছেন তাদের গুরুত্বপূর্ণ কাজ হলো তারা যেন হজের যাবতীয় মাসআলা-মাসায়েল শিক্ষা করেন। এবং আল্লাহ ও বান্দার হক যথারীতি সমাধান করা। এবং মহান রব্বুল আলামিনের দরবারে বেশি বেশি কায়মনোবাক্যে দোয়া করতে থাকা। আল্লাহতায়ালা আমাদের বাইতুল্লাহ জিয়ারত করার তৌফিক দান করুন, আমিন।
লেখক : ইমাম ও খতিব, কাওলারবাজার জামে মসজিদ, দক্ষিণখান, ঢাকা।

Please Share This Post in Your Social Media

এই বিভাগের আরো সংবাদ

© ২০২৩ bongonewsbd24.com