রাজবাড়ী জেলা প্রতিনিধ : রাজবাড়ীতে বালু ব্যবসায়ী শাফিন খানকে (৪০) হত্যার দায়ে দুই আসামিকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এ ঘটনায় ছয় ব্যক্তিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। সোমবার বিকাল ৪টার কিছুক্ষণ পর রাজবাড়ী জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোসাম্মৎ জাকিয়া পারভিন এ রায় ঘোষণা করেন।
সংশ্লিষ্ট আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর আব্দুর রাজ্জাক এসব তথ্য জানিয়েছেন।ফাঁসির দন্ডপ্রাপ্তরা হলেন কুষ্টিয়া জেলার খোসকা উপজেলার আমবাড়িয়া গ্রামের ছালাম মোল্লার ছেলে মো. আরিফ মোল্লা ও একই গ্রামের ইব্রাহিম প্রমাণিকের ছেলে রুহুল আমিন প্রমানিক । দোষীদের ফাঁসির রজ্জুতে ঝুলিয়ে ফাঁসি কার্যকরে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
এ ঘটনার সাথে জড়িত থাকায় রাজবাড়ীর পাংশা উপজেলার সেনগ্রাম গ্রামের সামাদ মন্ডল, একই গ্রামের ওয়াহেদ কাজী, পাবনা জেলার কণ্ঠগজরা গ্রামের রশিদ কাজী, কুষ্টিয়া জেলার খোকসা উপজেলার আমবাড়ীয়া গ্রামের রাজিব মোল্লা, একই গ্রামের সবুজ মোল্লা ও সাগর মোল্লাকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদন্ড ও প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা অর্থদন্ড অনাদায়ে আরো ১ বছরের কারাদন্ডে দন্ডিত করা হয়েছে।
রায়ে সেলিম রানা, রতন মোল্লা ও সুমনকে খালাসপ্রদান করা হয়েছে।
জানা গেছে, কুষ্টিয়া জেলার খোকসা থানার শাফিন দীর্ঘদিন সৌদি আরবে চাকুরী করে ২০১৭ সাল থেকে রাজবাড়ীতে মাটি বালুর ব্যবসা করেন। ২০১৭ সালে ১৬ ডিসেম্বর বিকাল ৫টার দিকে শাফিন খানকে ডেকে নিয়ে হত্যা করা হয়। পরদিন বিকালে রাজবাড়ীর পাংশা উপজেলার হাবাসপুর ইউনিয়নের চরঝিকরী আখ ক্ষেতের মধ্যে শাফিনের মরদেহ পাওয়া যায়। এ ঘটনায় ১৮ ডিসেম্বর শাফিনের ভাই মো. ফরিদ হাসান খান বাদী হয়ে রাজবাড়ীর পাংশা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।দীর্ঘদিনের বিচার পক্রিয়া শেষ বিজ্ঞ আদালত এই রায়ে ঘোষণা করেন।
রাজবাড়ী জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর আব্দুর রাজ্জাক বলেন, দীর্ঘদিনের বিচারকাজ শেষে বিজ্ঞ আদালত রায় ঘোষণা করেছেন। এ রায়ে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।
রায়ের সময় মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত আসামী আরিফ মোল্লা ও যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত এক আসামী ব্যতিত সকল আসামী আদালতে উপস্থিত ছিলেন। দন্ডাদেশ প্রদানের ৭ দিনের মধ্যে সাজাপ্রাপ্তরা হাইকোটে আপিল করতে পারবেন বলে রায়ে কপিতে আছে।