বঙ্গনিউজবিডি ডেস্ক : লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জে শাশুড়ি রহিমা বেগমকে (৬০) শ্বাসরোধে হত্যার অভিযোগে তাহমিনা আক্তার (২৭) নামে তার পুত্রবধূকে আটক করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার রাত ১১টায় রামগঞ্জ উপজেলার ইছাপুর ইউনিয়নের রাঘবপুর গ্রামের নতুন মসজিদ বাড়িতে এ ঘটনা ঘটেছে।
তাহমিনা আক্তার নোয়াগাঁও ইউনিয়নের সাউধেরখীল গ্রামের মফিজুল ইসলামের মেয়ে।
স্থানীয় সূত্র ও রহিমা বেগমের আত্মীয়-স্বজন জানান, শাশুড়ি রহিমা বেগমের সঙ্গে দীর্ঘদিন থেকে পারিবারিক বিরোধের জেরে একই ঘরে আলাদা চুলায় রান্না করে খেত দুবাই প্রবাসী মো. হুমায়ুন কবিরের স্ত্রী তাহমিনা আক্তার।
খুঁটিনাটি নিয়ে সংসারে অশান্তি ও প্রবাসী ছেলের কাছ থেকে কোনো ধরনের সহযোগিতা না পেয়ে রহিমা বেগমের স্বামী আবু তাহের মিয়া (৭০) জীবিকার তাগিদে ঢাকার একটি বেকারিতে চাকরি নিতে বাধ্য হন।
বাড়ির লোকজন জানান, মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে শাশুড়ি ও পুত্রবধূ দুজনে ঝগড়ায় লিপ্ত হয়। প্রতিদিনকার কলহ ভেবে বাড়ির লোকজন এত গুরুত্ব না দিয়ে যার যার কাজে ব্যস্ত থাকে।
বসতঘরের দরজা বন্ধ থাকায় এবং হঠাৎ সবকিছু নিস্তব্ধ হওয়ায় বাড়ির লোকজনের কাছে বিষয়টি সন্দেহ হয়। তারা বসতঘরের সামনে গিয়ে ডাকাডাকি করেও ভেতর থেকে কোনো সাড়া না পেয়ে জানালা দিয়ে দেখেন শাশুড়ি রহিমা বেগম খাটের ওপর আর পুত্রবধূ তাহমিনা মেঝেতে পড়ে আছেন।
বাড়ির লোকজন স্থানীয় ইউপি সদস্যকে খবর দিলে তিনি রামগঞ্জ থানা পুলিশকে বিষয়টি অবহিত করেন।
খবর পেয়ে রাতেই সহকারী পুলিশ সুপার স্পিনা রানী প্রামানিক ও রামগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেনসহ পুলিশ সদস্যরা ঘর থেকে শাশুড়ির লাশ আর অচেতন অবস্থায় পুত্রবধূকে উদ্ধার করে।
রামগঞ্জ থানার (ওসি) মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন জানান, রহিমা বেগমের মৃতদেহ উদ্ধার করে লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করেছি। ময়নাতদন্ত শেষে মূল ঘটনা বলা যাবে।
এছাড়া আটক পুত্রবধূ তাহমিনা আক্তারকে রামগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।