বঙ্গনিউজবিডি ডেস্ক: গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে টানা তিন বছর শাশুড়ি ও শ্যালিকাকে ধর্ষণ, ভিডিও ধারণ এবং সেসব দৃশ্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগের প্রেক্ষিতে জামাই রুহুল আমিন সরকার আপেলকে (২৬) গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। সোমবার (২৬ জুলাই) অভিযুক্ততে গোবিন্দগঞ্জ থানায় সোপর্দ করে র্যাব। এর আগে রোববার (২৫ জুলাই) সন্ধ্যায় উপজেলার কাটাখালি বালুয়া বাজারের মুক্তিযোদ্ধা ময়েজ উদ্দিন সুপার মার্কেট থেকে গ্রেপ্তার করা হয় অভিযুক্তকে।
রুহুল আমিন সরকার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার তালুক কানুপুর ইউনিয়নের সমসপাড়া গ্রামের আব্দুল মজিদের ছেলে। তার বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন, পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইন ও ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে ভুক্তভোগী মা-মেয়ে বাদী হয়ে গোবিন্দগঞ্জ থানায় পৃথক দুটি মামলা (৩৭ ও ৩৮) করেছেন। দুটি মামলায় সোমবার বিকেলে রুহুল আমিনকে গোবিন্দগঞ্জ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হলে আদালত তাকে জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, রুহুল আমিন তার শ্বশুরবাড়ি প্রায়ই যাতায়াত করতেন। এই সুযোগে শাশুড়ির গোসলের আপত্তিকর দৃশ্য মোবাইলে ধারণ করেন। পরে ধারণকৃত ওই দৃশ্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়ার ভয় দেখিয়ে শাশুড়ির ইচ্ছার বিরুদ্ধে তার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক করেন। শারীরিক সম্পর্কের ঘটনাও গোপনে ধারণ করেন রুহুল আমিন। এরপর গত ২০১৮ সাল থেকে ৭ জুলাই, ২০২১ সাল পর্যন্ত বিভিন্ন সময় রুহুল আমিন ইচ্ছার বিরুদ্ধে তার শাশুড়িকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। রুহুল আমিন তার স্ত্রীকে কালো কাপর দিয়ে মুখ বেঁধে নগ্ন ছবি তুলে শাশুড়ির মোবাইলে পাঠাতো এবং ফোনে রেখে মেয়েকে মারপিট ও নির্যাতন করতো।
অন্যদিকে, রুহুল আমিন তার শ্যালিকার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক করতে বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করেন। শ্যালিকাকে গাইবান্ধার পলাশপাড়ার বাসায় ও গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার তালুক কানুপুর ইউনিয়নের সমসপাড়ায় ফুফাতো বোনের বাড়ি নিয়ে ধর্ষণের চেষ্টা চালায়। শ্যালিকার ধর্ষণ চেষ্টার ও অশ্লীল দৃশ্য ফেসবুকে প্রকাশ করেন।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই আরিফুল ইসলাম জানান, আসামি রুহুল আমিনকে পৃথক দুই মামলায় ৫ দিনের রিমান্ড আবেদনসহ আদালতে উপস্থিত করা হয়। এসময় তাকে কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দেন এবং রিমান্ড শুনানির জন্য পরবর্তী দিন ধার্য করেন আদালত।