বঙ্গনিউজবিডি ডেস্ক: শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, করোনার উচ্চ সংক্রমণের সময়কালে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার দাবি অবান্তর। তবে শিগগিরই এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার বিষয়ে সিদ্ধান্ত জানানো হবে।
বুধবার (৩০ জুন) জাতীয় সংসদে বাজেট পাস প্রক্রিয়া চলাকালে বিরোধীদলের সংসদ সদস্যদের বিভিন্ন ছাঁটাই প্রস্তাবের জবাব দিতে গিয়ে তিনি এ কথা বলেন।
এর আগে জাতীয় পার্টি, বিএনপি ও গণফোরামের সদস্যরা ছাঁটাই প্রস্তাবের পরেও তাদের বক্তব্য দেন। এ সময় কোনো কোনো সংসদ সদস্য স্কুল খুলে দেয়ার দাবি করেন। অবশ্য কেউ কেউ এর বিরোধিতাও করেন।
ডা. দীপু মনি বলেন, বিশ্বের উন্নত দেশগুলো বিভিন্ন সময় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার চেষ্টা করেছিলো। কিন্তু তারপর সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ায় আবারও তারা বন্ধ করে দিতে বাধ্য হয়েছে। উন্নত দেশগুলোতে শ্রেণি আকৃতি ২০-২৫ জনের বেশি নয়। আমাদের এখানে অনেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীরা গায়ে গায়ে লেগে বসে থাকে। সেখানে খোলার প্রশ্নটা একেবারেই অবান্তর।
তিনি বলেন, বিভিন্ন সময়ে অভিভাবকদের সঙ্গে আমার কথা হয়। তাদের কেউ কেউ খুলে দেয়ার কথা বললেও এ সময় খোলা হলে তারা তাদের সন্তানদের স্কুলে পাঠাবেন না বলে একবাক্যে জবাব দেন। তারা বলেন সন্তানদের মেরে ফেলার জন্য পাঠাতে পারি না। তাদের বিভিন্নভাবে এক্সপ্রেশন প্রকাশ করেন।
এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, বিশ্বের বহু দেশ এমনকি উন্নত বিশ্বের দেশগুলোও পাবলিক পরীক্ষা বাতিল করেছে। কোনো কোনো দেশ প্রেডিকটেড গ্রেড দিচ্ছে। আমরা সেখানে ২০২০ সালের এসএসসি পরীক্ষা নিয়ে ফেলেছিলাম। এইচএসসি পরীক্ষা শুরুর দুই-তিনদিন আগে বন্ধ করতে বাধ্য হয়েছিলাম। পরে আমরা জেএসসি ও এসএসসি পরীক্ষার ফলের ভিত্তিতে তার ফলাফল দিয়েছিলাম। আমরা যেভাবে বিচার-বিশ্লেষণ ও টালি করে ফলাফল দিয়েছি দুই একটি ব্যক্তিক্রম ছাড়া পরীক্ষা হলে শিক্ষার্থীদের ফলাফল এরকমই হতো। কাজেই কেউ ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি।
তিনি বলেন, এ বছরের সিদ্ধান্ত আমরা খুব শিগগিরই জানাবো। কী পদ্ধতি আমরা করবো সবকিছুই আমরা জানাবো। তবে, শিক্ষার্থী, অভিভাবকসহ সবাইকে বলবো উদ্বিগ্ন হবেন না। বৈশ্বিক সঙ্কট চলছে। এই সঙ্কট মোকাবিলায় প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে সবক্ষেত্রে সেভাবে সিদ্ধান্ত নিচ্ছি। একইভাবে শিক্ষাক্ষেত্রে সিদ্ধান্ত হবে। এটি সর্বোচ্চ গুরুত্বপূর্ণ সেক্টর।
বিকল্প সময়ে সরকার দ্রুত সময় পাঠদান শুরু করেছে দাবি করে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, আমরা যতো দ্রুত সক্ষম হয়েছি, বিশ্বের আর কোথাও এতো দ্রুত শুরু করেনি। যে কারণে বিশ্বে শিক্ষা নিয়ে কোনো সভা হলে বাংলাদেশের দ্রুততম সময়ের মধ্যে অনলাইনে এবং টেলিভিশনের মাধ্যমে পাঠদানের বিষয়টির প্রশংসা করা হয়। সংসদ টেলিভিশন ব্যবহারের অনুমতি দেয়ার জন্য এ সময় তিনি প্রধানমন্ত্রী ও স্পিকারের কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।