বঙ্গনিউজবিডি ডেস্ক: স্বাস্থ্যবিধি আর কঠোর বিধিনিষেধ উপেক্ষা করে লকডাউনের ৯ম দিনেও মুন্সিগঞ্জের শিমুলিয়া ঘাটে দেখা গেছে যাত্রীদের উপচে পড়া ভিড়।
তাই ফেরিতে গাদাগাদি করেই পদ্মা পাড়ি দিচ্ছেন ঢাকামুখী ও গ্রামের বাড়ি ফেরা এসব যাত্রীরা।
৫ আগস্ট পর্যন্ত চলা চলমান লকডাউন এর সময়সীমা আরও বাড়তে পারে এমন আশঙ্কায় মধ্যে নানা অজুহাত দেখিয়ে স্বাস্থ্যবিধি তোয়াক্কা না করেই সকাল থেকে ঢাকা ছাড়ছেন অনেকেই।
শনিবার সকাল থেকে এই নৌ রুটের হাজার হাজার যাত্রী ও ব্যক্তিগত গাড়িকে ফেরি দিয়ে পদ্মা পার হতে দেখা গেছে।
ঘাটের প্রবেশমুখগুলোতে পুলিশের চেকপোস্ট ও ঘাট এলাকায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালিত হলেও যাত্রীরা দেখাচ্ছে নানা অজুহাত। অসুস্থতা, টিকা গ্রহণ ছাড়াও নানা সমস্যার কথা উল্লেখ্য করে ঢাকা ছেড়ে গ্রামের বাড়িতে ছুটছে মানুষ।
অন্যদিকে বাংলাবাজার থেকে শিমুলিয়াঘাটে পৌঁছে ঢাকামুখী যাত্রীরা সড়কে পুলিশের চেকপোস্ট এড়িয়ে ছোট ছোট যানবাহন ও মোটরসাইকেলে করে ভেঙে ভেঙে বাড়তি ভাড়া গুনে ফিরছে রাজধানীতে। তবে পরিবহন সংকটে তীব্র ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে ঢাকামুখী এসব যাত্রীদের।
এছাড়াও শিমুলিয়া ঘাট এলাকা থেকে ভাড়ায় চালিত মাইক্রোবাসে করে ঢাকায় উদ্দেশ্যে রওনা হতে দেখা গেছে অনেক যাত্রীকে, এসব যানবাহনে যাত্রীদের গুনতে হচ্ছে দুই-তিনগুণ বেশি ভাড়া।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন করপোরেশন (বিআইডাব্লিউটিসি) শিমুলিয়া ঘাটের উপমহাব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) শফিকুল ইসলাম জানান, নৌরুটে ৪টি রোরো, ৪টি মিডিয়াম মিলিয়ে ৮টি ফেরি সচল রেখে চলছে যাত্রী ও যানবাহন পারাপার। তবে নদীতে তীব্র স্রোত থাকায় ফেরি পারাপারে সময় লাগছে বেশি।
সকাল থেকে যাত্রীদের উপচে পড়া ভিড়ের কারণে রীতিমতো হিমশিম খেতে হচ্ছে তাদের।