বঙ্গনিউজবিডি ডেস্ক : করোনা মহামারির প্রকোপের মধ্যে সরকারি বিধিনিষেধ উপেক্ষা করেই লাখ লাখ মানুষ ঈদ উপলক্ষে ঢাকা ছেড়েছেন। পরিবারের সঙ্গে ঈদ আনন্দ উপভোগ শেষে পরদিনই একইভাবে ঢাকার উদ্দেশে রওনা হয়েছে অনেক মানুষ। এতে ফেরিঘাটটিতে চাপ বেড়েছে ঢাকামুখী যাত্রীদের।
শনিবার সকাল থেকে শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌরুটে ঢাকামুখী যাত্রীদের চাপ লক্ষ্য করা গেছে।
শিমুলিয়া ফেরিঘাটের সহকারী ব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) প্রফুল্ল চৌহান জানান, সকাল থেকে ফেরি ঘাটে উভয়মুখী চাপ রয়েছে। কয়েকটি ফেরিতে শুধুমাত্র যাত্রী পার করা হয়েছে। ঘাট এলাকায় চার শতাধিক ছোটবড় যানবাহনও পারের অপেক্ষায় রয়েছে। সব যাত্রী ও যানবাহন পর্যায়ক্রমে পার করা হবে।
এদিকে ঈদের আগে বাড়ি ফিরতে না পারা অনেক যাত্রী আবার ঈদের পরদিন শনিবারও ফিরছেন বাড়িতে। এতে শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌরুট উভয়মুখী যাত্রীদের চাপ দেখা দিয়েছে মুন্সিগঞ্জের শিমুলিয়া ঘাটে। সকাল ৯টা থেকে ঢাকামুখী মানুষের চাপ বাড়তে শুরু করে এ নৌরুটে। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়ছে এ চাপ। যাত্রীর পাশাপাশি পারাপারের অপেক্ষায় রয়েছে চার শতাধিক ছোটবড় যানবাহন।
বিআইডব্লিউটিসি শিমুলিয়া ঘাট কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, যাত্রী ও যানবাহন পারাপারে নৌরুটে বর্তমানে ১৬টি ফেরি সচল রয়েছে।
সম্প্রতি করোনার ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট বা ধরন দেশে শনাক্ত হয়েছে। এটা নতুন করে উদ্বেগ সৃষ্টি করছে জনমনে। বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, ঈদে যেভাবে স্বাস্থ্যবিধির তোয়াক্কা না করে লাখ লাখ মানুষ ঢাকার বাইরে গিয়েছেন, তাতে ঈদের সপ্তাহ-দুয়েক পর করোনার আরেকটি ঢেউ আসতে পারে। এজন্য তারা আগেই সতর্ক হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন।
গতকাল সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এ বি এম খুরশিদ আলম জানান, ঢাকায় ফেরার যাত্রা নিয়ন্ত্রণে সরকারকে সুপারিশ করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
তিনি বলেন, ‘করোনাভাইরাস সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে ঈদ উপলক্ষে স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষা করে মানুষ যেভাবে ভিড় জমিয়ে বাড়ি গিয়েছেন, তাদের ফিরতি যাত্রা বিলম্বিত করতে সুপারিশ করা হয়েছে। যথাযথ ব্যবস্থা নিয়ে তাদের ফেরানোর সুপারিশ করেছি আমরা। ভারতসহ অন্য দেশের ভ্যারিয়েন্ট (ধরন) যেন দেশে ঢুকতে না পারে সেজন্য সতর্ক থাকতে হবে। এ বিষয়ে সবার সহযোগিতা প্রয়োজন। ভারতের মতো পরিস্থিতি আমাদের দেশে তৈরি হলে নাজুক অবস্থা হবে।