বঙ্গনিউজবিডি ডেস্ক : অতিরিক্ত গরমে শিশুদের বিভিন্ন রকম সমস্যা হয়ে থাকে। আর তার মধ্যে অন্যতম একটি সমস্যা হচ্ছে হিট র্যাশ। এটি মুলত এক ধরনের ফুসকুড়ির মতো যা অতিরিক্ত গরমের কারণে হয়ে থাকে।
সাধারণভাবে এটি শিশুদের শরীরের বিভিন্ন জায়গায় হয় এবং কয়েকদিনে ভাল হয়ে যায়। কিন্তু এই সময়ের মাঝেও এটি শিশুদের যথেষ্ট যন্ত্রনা দিতে পারে।
তাই এ সমস্যা নিরাময়ে আজ জানুন সহজ উপায়—
১. কোল্ড কম্প্রেস বা ঠাণ্ডা প্যাক
হিট র্যাশ হওয়ার কারণ হচ্ছে অতিরিক্ত গরম। আর এটি হলে আক্রান্ত স্থানে ঠাণ্ডা প্যাক ব্যবহার করলে অনেকটাই আরাম মেলে এবং র্যাশ ভাল হয় দ্রুতই।
এর জন্য আপনি একটি পরিস্কার কাপড় ঠাণ্ডা পানিতে ডুবিয়ে নিয়ে আক্রান্ত স্থানে লাগিয়ে রাখুন। এক মিনিটের মত রেখে সরিয়ে ফেলুন এবং এই কাজটি দিনে ২-৩ বার করুন। এতেই দূর হবে র্যাশের সমস্যা।
২. টি ট্রি ওয়েল ও নারিকেল তেল
টি ট্রি ওয়েলের অ্যান্টিসেপ্টিক ও প্রদাহ বিরোধী গুণাবলী রয়েছে। আর এ কারণে এটি হিট র্যাশ কমাতে সহায়তা করে।
এর জন্য আপনাকে নারিকেল তেলের সঙ্গে টি ট্রি ওয়েল মিশিয়ে ব্যবহার করতে হবে। দুই চামচ নারিকেল তেলের সঙ্গে ওক ফোটা টি ট্রি ওয়েল ভাল করে মিশিয়ে নিয়ে আক্রান্ত স্থানে লাগিয়ে রাখুন। ২০-৩০ মিনিট রেখে দিয়ে ধুয়ে ফেললেই মিলবে উপকার। র্যাশ ভাল না হওয়া পর্যন্ত এটি প্রতিদিন একবার ব্যবহার করতে পারেন।
তবে এটি ৬ মাসের কম বয়সী শিশুদের শরীরে ব্যবহার করা যাবে না।
৩. শসা
শসাতে ফ্ল্যাভোনয়েড এবং ট্যানিন নামক উপাদান থাকায় এটি অ্যানালজেসিক ও প্রদাহ বিরোধী হিসেবে কাজ করে। আর এ কারণে এটি শিশুদের শরীরের র্যাশ দূর করতে সাহায্য করে।
এর জন্য শসা টুকোর করে কেটে নিয়ে একটি ঘন পেস্ট বানিয়ে নিতে হবে। সেটি আক্রান্ত স্থানে লাগিয়ে ৫-১০ মিনিট রেখে ধুয়ে নিলেই মিলবে উপকার। আর র্যাশ ভাল না হওয়া পর্যন্ত এটি প্রতিদিন ২-৩ বার ব্যবহার করতে পারেন।
৪. অ্যালোভেরা
গবেষণায় প্রমানিত যে, অ্যালোভেরা জেলের প্রদাহ বিরোধী গুনাবলি থাকার কারণে এটি র্যাশ দূর করতে অনেক ভাল কাজ করে। আর শীশুদের শরীরে এটি ব্যবহার করাও অনেক সহজ।
এর জন্য টাটকা অ্যালোভেরা পাতা থেকে নিষ্কাশিত জেল নিয়ে লাগাতে হবে আক্রন্ত স্থানে। এরপর সেটি ১০-১৫ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেললেই দূর হবে র্যাশের সমস্যা। আর ভাল ফলাফলের জন্য এটি প্রতিদিন একবার ব্যবহার করতে পারেন।
তথ্যসূত্র: স্টাইলক্রেজ ডটকম