বঙ্গনিউজবিডি ডেস্ক : শীতকালে জয়েন্টে ব্যথা মাত্রাতিরিক্ত বৃদ্ধি পায়। এ সময় যারা আর্থরাইটিস, রিওমাটয়েড আর্থরাইটিস ও অস্ট্রিওআর্থরাইটিসের মতো হাড়ক্ষয় রোগে ভুগছেন তাদের কষ্ট বহুলাংশে বেড়ে যায়। এ ছাড়া পেশি, লিগামেন্ট, হাড় ও স্নায়ুর ব্যথাও তীব্র হয়।
শীতকালে নড়াচড়া কম হয় এবং বায়ুর চাপ কম থাকে বলে মানুষের কোষ ফুলে যায়। ফলে জয়েন্ট বা জোড়া জমে যায় এবং ব্যথা শুরু হয়। এ সময় রক্তনালির খিঁচুনি ও সংকোচন হলে জোড়া, পেশি ও হাড়ে রক্ত চলাচল আগের চেয়ে বেশ কমে যায় বলে ব্যথা-বেদনা বেড়ে যায়। এ ছাড়া শীতে স্নায়ুর সহ্যক্ষমতা কম থাকে এবং অল্পতেই উত্তেজিত হয় বলে ব্যথার অনুভূতি বেড়ে যায়।
লক্ষণ শীতকালে সাধারণত ঘাড়, কোমর, হাঁটু, কটি, গোড়ালি, কাঁধ, কনুই ও কবজিতে ব্যথা হয়। হাত সামনে পেছনে নেওয়া এবং হাত দিয়ে কিছু তোলা কষ্টকর হয়। হাঁটু ও কোমর সোজা অবস্থা থেকে ভাঁজ করতে এবং বসতে বা উঠতে অসুবিধা হয়।
ব্যথা প্রতিরোধে করণীয় :
* পর্যাপ্ত পরিমাণে ক্যালসিয়াম, ভিটামিন ‘ডি’, ‘এ’ ও ‘সি’ খেতে হবে।
* ফল ও ফলের রস, সতেজ শাকসবজিসহ উপযুক্ত খাবার শীতকালে আর্থরাইটিস বা বাত-ব্যথার তীব্রতা কমাতে সহায়তা করে
* সকালে খালি পেটে রসুন খাওয়া রক্ত চাপ নিয়ন্ত্রণ এবং জয়েন্টে রক্তপ্রবাহ স্বাভাবিক রাখে বলে ব্যথা কম অনুভূত হয়।
* আদা ও লেবুর রস মধুর সঙ্গে মিশিয়ে সকালে এবং রাতে পান করলে আর্থরাইটিসের ব্যথা কমে যায়।
* কুসুম গরম পানির সেঁক এ ব্যথার জন্য কার্যকর। যথেষ্ট গরম কাপড় পরতে হবে।
* যেকোনো অবস্থায় বেশিক্ষণ বসা, দাঁড়ানো যাবে না।
* সিঁড়ি দিয়ে ওঠা-নামা কম করতে হবে।