বঙ্গনিউজবিডি ডেস্ক: টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ সপ্তম আসরের সুপার টুয়েলভে শীর্ষ স্থানের লড়াইয়ে নামছে ইংল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়া। এ পর্বে প্রথম দুই ম্যাচ খেলেই দু’টিতেই জিতেছে ইংল্যান্ড ও অস্টেলিয়া। তাই গ্রুপ ১এর টেবিলে দু’দলের পয়েন্ট সমান ৪ করে। যৌথভাবে সমান পয়েন্ট থাকা এই দুই দল কাল মুখোমুখি হচ্ছে। জয় তুলে নিয়ে এককভাবে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে উঠার লক্ষ্য ইংল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়ার। এ ম্যাচ জিতলেই পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে উঠবে দু’দলের একটি।
দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ সময় রাত ৮টায় শুরু হবে ইংল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়ার ম্যাচ।
সুপার টুয়েলভে নিজেদের প্রথম ম্যাচেই ওয়েস্ট ইন্ডিজকে উড়িয়ে দেয় ইংল্যান্ড। স্পিনার আদিল রশিদের স্পিন বিষে মাত্র ৫৫ রানে অলআউট হয় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ১৪ বল করে মাত্র ২ রান দিয়ে ৪ উইকেট নেন রশিদ। ৬ উইকেটের জয়ে বিশ্বকাপ শুরু করে ইংলিশরা।
দুর্দান্ত শুরুর পর দ্বিতীয় ম্যাচেও সহজ জয় পায় ইংল্যান্ড। বাংলাদেশকে ৮ উইকেটে হারায় ইংলিশরা। এবারও দলের জয়ে অবদান ছিলো ইংলিশ বোলারদের। টাইমাল মিলস ৩টি ও অকেশনাল স্পিনার লিয়াম লিভিংস্টোন ২টি উইকেট নিয়ে বাংলাদেশকে ১২৪ রানে আটকে রাখেন। এরপর ওপেনার জেসন রয়ের ঝড়ে ৩৫ বল বাকী রেখে জয়ের স্বাদ নেয় ইংল্যান্ড। ৩৮ বলে ৬১ রান করেন রয়।
তবে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে জিততে হলে বোলারদের পাশাপাশি ব্যাটারদের আরও একবার জ্বলে উঠতে হবে বলে মনে করেন ইংল্যান্ডের অধিনায়ক ইয়োইন মরগান। তিনি বলেন, ‘প্রথম দুই ম্যাচে আমরা দারুন ক্রিকেট খেলেছি। এভাবে খেলতে পারলে অস্ট্রেলিয়াকে হারানো কঠিন কিছু নয়।’
ইংল্যান্ডের মত স্বাচ্ছেন্দ্যে প্রথম দুই ম্যাচে জয় পেয়েছে অস্ট্রেলিয়াও। ৫ উইকেটে দক্ষিণ আফ্রিকাকে ও ৭ উইকেটে শ্রীলংকাকে হারায় অসিরা।
দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে জয়ের পেছনে অস্ট্রেলিয়ার বোলাররা অবদান রেখেছিলেন। শ্রীলংকার বিপক্ষে জয়ে বোলারদের পাশাপাশি ওপেনার ডেভিড ওয়ার্নার অবদান ছিলো। অস্ট্রেলিয়ার জন্য স্বস্তির বিষয় ফর্মে ফিরেন ওয়ার্নার। কেননা বেশ কিছু দিন যাবত ফর্মহীনতায় ভুগছিলেন তিনি। দু’টি অফিসিয়াল প্রস্তুতিমূলক ম্যাচে ০ ও ১ রান করেন ওয়ার্নার। আর বিশ্বকাপ মঞ্চে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ১৪ রানে ফিরেন।
তবে শ্রীলংকার বিপক্ষে হেসেছে ওয়ার্নারের ব্যাট। ৪২ বলে ১০টি চারে ৬৫ রান করেন তিনি। ছোট-ছোট ইনিংস খেললেও দলের উপকারে আসছে স্টিভেন স্মিথের অবদান। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ৩৫ ও শ্রীলংকার বিপক্ষে অপরাজিত ২৮ রান করে দলকে জয়ের স্বাদ দিতে পারেন স্মিথ।
টি-টোয়েন্টিতে এখন পর্যন্ত ১৯ বার মুখোমুখি হয়েছে ইংল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়া। ১০বার জিতেছে অসিরা। ৮বার জয় ইংলিশদের। ১টি ম্যাচ পরিত্যক্ত হয়।
গত সেপ্টেম্বরে ইংল্যান্ড সফরে তিন ম্যাচের সিরিজ ২-১ ব্যবধানে হারে অস্ট্রেলিয়া।
আর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে দুইবারের দেখায় সমান জয় ইংল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়ার। সর্বশেষ ২০১০ সালের বিশ্বকাপে দেখা হয়েছিলো তাদের। সেটিতে জয় পেয়েছিলো ইংল্যান্ড।
ফরম্যাটটা টি-টোয়েন্টিতে হলেও এই ম্যাচ দিয়ে অ্যাশেজের আবহও থাকছে বলা যায়। কারন বিশ্বকাপ শেষে অ্যাশেজ সিরিজে মুখোমুখি হবে ইংল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়া। আগামী ৮ ডিসেম্বর থেকে ব্রিসবেনে শুরু হবে সিরিজ।
অস্ট্রেলিয়া : অ্যারন ফিঞ্চ (অধিনায়ক), অ্যাস্টন অ্যাগার, প্যাট কামিন্স, জস হ্যাজেলউড, জস ইংলিস, মিচেল মার্শ, গ্লেন ম্যাক্সওয়েল, কেন রিচার্ডসন, স্টিভেন স্মিথ, মিচেল স্টার্ক, মার্কুস স্টোয়িনিস, মিচেল সুয়েপসন, ম্যাথু ওয়েড, ডেভিড ওয়ার্নার এবং এডাম জাম্পা।
ইংল্যান্ড : ইয়োইন মরগান (অধিনায়ক), মঈন আলি, জনি বেয়ারস্টো, স্যাম বিলিংস, জস বাটলার, টম কারান, ক্রিস জর্ডান, লিয়াম লিভিংস্টোন, ডেভিড মালান, টাইমাল মিলস, আদিল রশিদ, জেসন রয়, ডেভিড উইলি, ক্রিস ওকস, মার্ক উড।