বঙ্গনিউজবিডি ডেস্ক : দেশে প্রথমবারের মতো বিশ্বমানের ‘স্মার্ট চিলড্রেন কার্নিভ্যাল’ অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। চার দিনব্যাপী এ কার্নিভ্যাল শুরু হচ্ছে বুধবার (২৭ সেপ্টেম্বর)। রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বেলা ১১টায় বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে এ অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করবেন।
উদ্ভাবনী, সৃজনশীল, অসাম্প্রদায়িক চেতনায় উজ্জীবিত মানবিক মানুষ তৈরির লক্ষ্যে তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি বিভাগ এ কার্নিভালের আয়োজন করেছে। মঙ্গলবার (২৬ সেপ্টেম্বর) শিল্পকলা একাডেমিতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
আইসিটি প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু বলতেন-সোনার বাংলা গড়তে হলে সোনার মানুষ চাই। আমরা সেই সোনার মানুষ তৈরি করতে চাই। দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ, প্রগতিশীল, সৃজনশীল, অসাম্প্রদায়িক চেতনায় উজ্জীবিত একেক জনকে সোনার মানুষে পরিণত করাই হচ্ছে স্মার্ট চিলড্রেন কার্নিভালের মূল উদ্দেশ্য। বঙ্গবন্ধুর সাংস্কৃতিক বিপ্লব ঘটাতে শিল্প, সাহিত্য ও সংস্কৃতিতে শিশুদের সু্প্ত প্রতিভার বিকাশ ঘটাতে হবে।’
পলক বলেন, ‘আজকের শিশু-কিশোরদের আমরা যেভাবে গড়ে তুলবো, আগামীর স্মার্ট বাংলাদেশ সেভাবেই গড়ে উঠবে। বর্তমান প্রজন্মের শিশু কিশোরদের নৈতিকতা শিক্ষা, মূল্যবোধ এবং দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে তাদের পরিবেশবান্ধব চিন্তা, সমস্যা সমাধানকারী, উদ্ভাবনী নাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে চাই।’
প্রযুক্তিজ্ঞান সমৃদ্ধ জনসম্পদ গড়ে তুলতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ১৩ হাজার শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব স্থাপন করা হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, আগামীতে আরও ১০ হাজার শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব স্থাপন করা হবে। ডিজিটাল বাংলাদেশ সফলভাবে বাস্তবায়নের পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চারটি স্তম্ভের ওপর ভিত্তি করে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের ঘোষণা দিয়েছেন। আজকের শিশু-কিশোররাই আগামী দিনের স্মার্ট বাংলাদেশে নেতৃত্ব দেবে।
প্রতি বছর সেপ্টেম্বরের শেষ সপ্তাহে স্মার্ট চিলড্রেন কার্নিভাল আয়োজন করা হবে জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, পর্যায়ক্রমে বিভাগ, জেলা ও উপজেলা পর্যায়েও আয়োজিত হবে এমন অনুষ্ঠান। শিশুরা খেলতে খেলতে বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, মূল্যবোধ, নৈতিকতা, সংস্কৃতিসহ বিভিন্ন বিষয় শিখবে। এ লক্ষ্যে আইসিটি বিভাগের উদ্যোগে www.hasinaandfriends.gov.bd ওয়েবসাইট তৈরি করা হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, কার্নিভালের প্রথম, দ্বিতীয় ওতৃতীয় দিনে শিল্পকলা একাডেমিতে শিশুদের জন্য বেলা ১১টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত ১০টি জোনে ডিজিটাল অ্যানিমেটেড চিত্রাঙ্কন প্রদর্শন, গেমিং জোন ও কুইজ প্রতিযোগিতা, গল্প উপস্থাপন, রিডিং জোন, ভিডিও ম্যাপিংয়ের মাধ্যমে অ্যানিমেটেড জায়ান্ট বই প্রদর্শনীর ব্যবস্থা থাকবে।
এছাড়া পারফরমেন্স, রণপা, জায়ান্ট গেম, রাইডিং জোন, ইমার্সিভ ডিজিটাল এনভায়রনমেন্টের আয়োজন করা হয়েছে। শিশুরা বিনামূল্যে এতে প্রবেশ করতে পারবে। চতুর্থ দিন ৩০ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যা ৬টায় সমাপনী অনুষ্ঠানের আয়োজন থাকবে। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।
সংবাদ সম্মেলনে তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি বিভাগের সচিব সামসুল আরেফিন সভাপতিত্ব করেন। এতে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের নির্বাহী পরিচালক রণজিৎ কুমার সামদানী, ফাউন্ডেশনের কো-ফাউন্ডার অ্যান্ড ট্রাস্টি রাজীব সামদানী প্রমুখ।