ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধিঃ বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের কেন্দ্রীয় মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হক বলেছেন, ক্রমাগত মানুষ হত্যা করে শেখ হাসিনা নিজেই আওয়ামী লীগকে ধ্বংস করেছে। তার রাজনৈতিক দর্শন ছিল মানুষকে হত্যা করা।
তিনি বলেন, বাংলাদেশকে মৃত্যুপুরীতে পরিণত করে ক্ষমতার মসনদ আঁকড়ে ধরেছিল। নেতাকর্মীদের হুমকির মুখে ফেলে স্বার্থপরের মতো বোনকে নিয়ে দেশ ছেড়ে ভারতে আশ্রয় নিয়েছেন। সেখান থেকে ষড়যন্ত্র করছেন দেশে নৈরাজ্য সৃষ্টির জন্য।
রোববার (১৫ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ঠাকুরগাঁও শহরের পাবলিক ক্লাব মাঠে খেলাফত মজলিস ঠাকুরগাঁও জেলা শাখার আয়োজনে গণসমাবেশে এসব কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, ৭৫’এর ১৫ আগস্ট আওয়ামী লীগের নেতারাই শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যা করেছিল। এ কারণেই শেখ হাসিনা দীর্ঘদিন ধরে আওয়ামী লীগের কাছে কীভাবে বাবার মৃত্যুর প্রতিশোধ নেওয়া যায় তার চিন্তা করছিল। প্রতিশোধের অংশ হিসেবেই আওয়ামী লীগের নেতাদের রেখে ভারতে পালিয়েছে।
তিনি আরও বলেন, শেখ হাসিনা তার পরিবারের কাউকে রাজনীতিতে আনেননি। কারণ দেশের মানুষের ওপর তার কোনো আস্থা ছিল না। তার চিন্তাই ছিল বাংলাদেশের রাজনীতির বারোটা বাজিয়ে দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাবে। ৫০ বছর প্রতিশোধের রাজনীতি করে দেশটাকে ধ্বংস করেছে শেখ হাসিনা। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হওয়া শেখ হাসিনার উদ্দেশ্য ছিল না।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের বুকের ওপর দিয়ে দেশের স্বার্থকে জলাঞ্জলি দিয়ে আরেকটি দেশকে ট্রানজিট দিয়ে দেয় শেখ হাসিনা। কারণ সে এই দেশের উন্নতি চায়নি। দেশটাকে অঙ্গরাজ্যে পরিণত করাই ছিল তার রাজনীতি।
তিনি ২০০৯ সালে পিলখানায় ৫৭ জন দেশপ্রেমিক সেনা কর্মকর্তা হত্যা এবং ২০১৩ সালে মতিঝিলে ধর্মপ্রাণ মাদ্রাসা ছাত্র হত্যার অপরাধে শেখ হাসিনার বিচার দাবি করেন।
বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস ঠাকুরগাঁও জেলা শাখার সভাপতি মাওলানা সাঈদ আহমদ সাঈফীর সভাপতিত্বে এ সময় কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা জালাল উদ্দীন আহমেদ, মাওলানা আতাউল্লাহ আমিন, সাংগঠনিক সম্পাদক হাফেজ মাওলানা এনামুল হক মূসা বক্তব্য রাখেন। বক্তব্য শেষে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শহীদদের জন্য দোয়া করা হয়।