পুলিশ ও স্থানীয় এলাকাবাসী জানান, একমাস আগে মামুরশাহী দাখিল মাদ্রাসার প্রায় ছয় বিঘা আয়তনের পুকুরটি খনন করা হয়। সেইসঙ্গে পুকুর খননের মাটি পাশের ফেরদৌস আলমের মালিকানাধীন কৃষি জমির মধ্যে স্তুপ করে রাখা হয়।
শনিবার (২২ জুলাই) বিকেল ওই জমির পাশে স্থানীয় দুই শিশু খেলাধূলা করছিল। একপর্যায়ে মূর্তিটি দেখে গ্রামের লোকজনকে জানালে দ্রুত তারা ঘটনাস্থলে এসে সত্যতা পেয়ে থানায় খবর দেন। পরে পুলিশ এসে কষ্টিপাথরের মূর্তিটি উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যান।
স্থানীয় বাসিন্দা শাহেব আলী, ইব্রাহিম হোসেন বলেন, মাটির স্তুপের মধ্যে মূর্তিটি ঢাকা পড়ে। তবে বিগত দুইদিনের বৃষ্টিতে সেটি বেড়িয়ে পড়ে। প্রথমে দুই শিশু দেখে তাদের খবর দেয়। এরপর থানায় সংবাদ দেওয়া হলে পুলিশ এসে মুর্তিটি উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যান। মূল্যবান মূর্তিটির ওজন দশ কেজি নয়শ’ গ্রাম।
শেরপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) রবিউল ইসলাম বলেন, স্থানীয়দের দেওয়া তথ্য পেয়েই ঘটনাস্থলে গিয়ে মূর্তিটি উদ্ধার করা হয়েছে। এটি লম্বায় প্রায় দেড় ফুট। খুবই সুন্দর মূর্তিটি। এটি পুরোপুরি অক্ষত রয়েছে। উদ্ধার হওয়া বিষ্ণু মূর্তিটির বিষয়ে আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী পরবর্তীতে পদক্ষেপ নেওয়া হবে।