বগুরা জেলা প্রতিনিধি : বগুড়ার শেরপুর টাউনক্লাব পাবলিক লাইব্রেরী মহিলা কলেজ এর ম্যানেজিং কমিটি(গভর্নিং বডি)র বর্তমান সভাপতি মজিবর রহমান মজনু’র বিরুদ্ধে নানা অনিয়মের অভিযোগের প্রেক্ষিতে সভাপতির পদ থেকে পরিবর্তন করেছে চিঠি দিয়েছে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়।
১৪ নভেম্বর জাতীয় বিশ্ববিদ্যলয়ের ভাইস- চ্যান্সেললের অনুমোদনক্রমে ০৭(র-৩৫৩)জাতীঃ বিঃ/কঃপঃ/ কোড-২৭২১/৫৬৩২০ স্মারকে কলেজ পরিচালক(ভারপ্রাপ্ত) ফাহিমা সুলতানা স্বাক্ষরিত চিঠিতে এ আদেশ দেয়।
একই চিঠিতে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভূক্ত কলেজ/ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সমূহের গভর্নিং বডির(সংশোধিত) সংবিধি ২০১৯ এর ৭নং ধারার প্রদত্ত ক্ষমতাবলে ওই কলেজের সভাপতি পরিবর্তন করে। এক্ষেত্রে বর্তমান সভাপতি মজিবর রহমান মজনু’র মনোনয়ন পরিবর্তন পূর্বক তদস্থলে সভাপতি হিসেবে শেরপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে মনোনয়ন দেয়। এবং অবশিষ্ট মেয়াদকাল আগামী ২০২৪ সালের ১২ মার্চ পর্যন্ত সভাপতি’র দায়িত্ব পালন করবেন।
তথ্যসুত্রে জানা যায় কলেজের অর্থ আত্মসাৎ করাসহ গর্ভনিং বডির সিদ্ধান্তকে উপেক্ষা করা ছাড়াও নানাবিধ দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগে শেরপুর টাউনক্লাব পাবলিক লাইব্রেরী মহিলা কলেজের গর্ভনিং বডি গত (২২ সেপ্টেম্বর) এক সভায় অধ্যক্ষ একেএম নূরুল ইসলামকে সাময়িক বরখাস্ত করেছেন। তাছাড়া তাকে অপসারণের দাবীতে মানববন্ধন করে একই প্রতিষ্ঠানে প্রায় ১৩ বছর অধিষ্ঠিত থাকা সভাপতি মজিবর রহমান মজনু’র অনুসারীরা।
এদিকে সাময়িক বরখাস্ত হওয়া অধ্যক্ষ একেএম নূরুল ইসলাম উল্টো ওই গভর্নিং বডির সভাপতি মজিবর রহমান মজনু’র বিরুদ্ধে নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির ফিরিস্তি উল্লেখ করে বগুড়া প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলন করেন। এরপর ২১ সেপ্টেম্বর ওই সভাপতির বিরুদ্ধে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর বরাবরে লিখিত অভিযোগ দাখিল করেন।
তার অভিযোগের প্রেক্ষিতে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ গত ২১ সেপ্টেম্বর একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে। ২৭ সেপ্টেম্বর ওই তদন্ত কমিটির সদস্য জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-কলেজ পরিদর্শক এএইচএম মশিউর রহমান ও সহকারি অধ্যাপক (ইতিহাস বিভাগ) আহম্মদ শরীফ ঘটনাস্থল শেরপুর টাউনক্লাব পাবলিক লাইব্রেরী মহিলা কলেজ পরিদর্শন ও তদন্তকার্য চালান। আর এ তদন্ত প্রতিবেদনের ফলেই জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলরের আদেশক্রমে গভর্নির বডির সভাপতি পদে পরিবর্তনের নির্দেশ হয়। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠানো এ সংক্রান্ত চিঠি নিদের্শনা অনুযায়ী সভাপতি হিসেবে মজিবর রহমান মজনু তার পদবী হারালেন। সেক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সভাপতি পদে অধিষ্ঠিত হলেন।
এ ব্যাপারে সাময়িক বরখাস্ত হওয়া অধ্যক্ষ একেএম নূরুল ইসলাম বলেন, আমার বিরুদ্ধে যেসব মিথ্যা অভিযোগ এনে অন্যায়ভাবে বরখাস্ত করেছেন সভাপতি। তাই সুষ্ঠ বিচার পেতে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর বরাবরে অভিযোগ করেছিলাম। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ‘যেটা ভাল মনে করছেন, সেটা করছে’।