বগুড়া জেলা প্রতিনিধি : বিয়ের আট মাসের মধ্যে নানা অজুহাতে স্ত্রীকে শারীরিক,মানষিক নির্যাতন ও যৌতুক দাবীর পর আদালতে স্ত্রীর দায়ের করা তিন টি চলমান যৌতুক মামলায় আদালতে একটির হাজিরা দিতে গিয়ে অবশেষে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে স্বামী জুনিয়র অডিট কর্মকর্তা আসলাম খান কে।
বগুড়ার আদালতে দায়েরকৃত মামলার বিবরণে জানা যায়, বগুড়া জেলার শেরপুর উপজেলার ভবানীপুর ইউনিয়নের আম্বইল গ্রামের সাবেক ইউপি সদস্য ইমরুল হোসেনের কন্যা মোছাঃ ইরিন আক্তার এর সাথে চলতি বছরের ১৮ ফেব্রুয়ারি তিন লাখ টাকার দেন মোহরানায় দুই পরিবারের সম্মতিতে বিবাহ হয় একই ইউনিয়নের জামালপুর গ্রামের আব্দুর রউফ খানের পুত্র আসলাম খানের সাথে। আসলাম খান বর্তমানে জয়পুরহাট জেলার আক্কেলপুর উপজেলায় সরকারি হিসাব রক্ষণ অফিসে জুনিয়র অডিট কর্মকর্তা হিসাবে কর্মরত রয়েছেন বলে তথ্যে নিশ্চিত করেছে । এদিকে মামলার বাদি স্ত্রী ু ইরিন আক্তার পৃথক পৃথক মামলায় উল্লেখ করেন যে সরকারী চাকরীরত তার স্বামী বিয়ের পর থেকে তাকে ঠুনকো অজুহাতে মারধর করা সহ বিভিন্ন ভাবে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ শারীরিক নির্যাতন , মানুষিক ভাবে হেনেস্হা , নিত্যদিন বাবার বাড়ি থেকে যৌতুক হিসেবে তিন লাখ টাকা দাবী করে নির্যাতন চালাতে থাকে।
স্বামীর অতিরিক্ত নির্যাতন, যৌতুক দাবীর জালায় অতিষ্ঠ হয়ে ইরিন আক্তার বাদী হয়ে বগুড়ার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্টেট আমলী আদালতে যৌতুক ও নারী শিশু নির্যাতন দমন আইনে গত ৪ সেপ্টেম্বর মামলা দায়ের করেন। মামলা নং ৪৭১ / সি ২০২৩ (শেরপুর) স্ত্রীর যৌতুক মামলায় তেলে বেগুনে জ্বলে ওঠে সরকারি ওই কর্মকর্তা মামলা তুলে নিতে স্ত্রী সহ শ্বশুর কে নানা ধরনের ভয়ভীতি, হুমকি দিয়ে আসছে। পরবর্তীতে জীবনের নিরাপত্তা কল্পে ইরিন আক্তার একই আদালতে গত ৫ অক্টোবর ২য় মামলা নং ৬৯০ সি /( শেরপুর) এবং সর্ব শেষ ৭ নভেম্বর ৭২০/সি ( শেরপুর)তৃতীয় মামলাটি দায়ের করেন । এদিকে মামলার বাদিনী বলেন স্বামীর নির্যাতন ও যৌতুকের হাত থেকে বাঁচতে মামলা করেও জীবনের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বিগ্ন বলে শংকায় রয়েছেন।
অপর দিকে প্রথম দায়েরকৃত মামলায় ২৭ নভেম্বর আদালতে হাজিরা দিতে যান তিনি মামলার অভিযুক্ত আসামি ও অডিট কর্মকর্তা । মাননীয় আদালত জামিন নামঞ্জুর করায় আদালতের মাধ্যমে সরকারী ওই অডিট কর্মকর্তা কে জেল হাজতে প্রেরণের নির্দেশ দেন। অপর দিকে জয়পুরহাট জেলার আক্কেলপুর উপজেলার হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তা ( অ-দা) প্রতুল কুমার মন্ডলের নিকট ফোনে এ সংক্রান্ত তথ্য জানতে চাইলে তিনি বলেন আসলাম খান এই অফিসে জুনিয়র অডিট কর্মকর্তা হিসাবে কর্মরত সে তিন দিনের ছুটিতে রয়েছেন। তবে কবে ছুটি নিয়েছেন বললেই ফোন কেটে দেন ঐ কর্মকর্তা।