বগুড়া জেলা প্রতিনিধি : বগুড়ার শেরপুরের টাউন ক্লাব পাবলিক মহিলা অনার্স কলেজের ছাত্রীরা দীর্ঘদিন থেকে আন্দোলন করে আসছে। গত ৫ আগষ্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র জনতার আন্দোলনের ফলে শেখ হাসিনা সরকার উচ্ছেদের পর থেকে আওয়ামীলীগ সরকারের বিভিন্ন নেতাকর্মীরা ভিন্ন ভিন্ন রুপে আন্দোলন করে আসছে।গণঅভ্যুত্থানের ফলে আওয়ামীলীগ সরকার পালিয়ে যাওয়ার পর থেকে কয়েকটি ক্লুর মাধ্যমে প্রতি গণঅভ্যুত্থানের চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়। প্রথমে বিচার বিভাগের মাধ্যমে , পরে আনসার বাহিনী, রিকশা বাহিনী এবং গার্মেন্টস কর্মীদের মাধ্যমে, আন্দোলন করে ব্যর্থ হয়। এখন বিভিন্ন বেসরকারী কলেজের ছাত্র ছাত্রীদের মাধ্যমে আন্দোলন করে পরিস্থিতি ঘোলা করার চেষ্টা করছে।
শেরপুর টাউন ক্লাব পাবলিক মহিলা অনার্স কলেজের আন্দোলন অনুসন্ধান করে জানা যায়, ৫ আগষ্ট সরকার পরিবর্তন হওয়ার পরে আওয়ামীলীগ মনোনীত অধ্যক্ষ পদত্যাগ করেন এবং শিক্ষকদের ভোটের মাধ্যমে আলহাজ্ব হাবিবুর রহমান ২৭ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন ও অধ্যাপক মোঃ শাহীন আলম ২৫ ভোট পেয়ে পরাজিত হন। মুলত তখন থেকেই শিক্ষকদের মধ্যে গ্রুপিং তৈরী হয়। অ্যাডহক কমিটির সভাপতি হিসেবে কে এম মাহবুবুর রহমান হারেজ মনোনীত হন এবং শিক্ষক প্রতিনিধি মনোনীত হন প্রভাষক মাহবুবুল হক। প্রথমে অনার্স পড়ুয়া ছাত্রীদের পরিক্ষার ফি কমানোর দাবীতে কিছু ছাত্রী আন্দোলন করেন। আন্দোলন অবস্থায় প্রভাষক মাহবুবুল হক কলেজে গেইটে আন্দোলনে অপরিচিত একটি মেয়েকে পরিচয় পত্র দেখাতে বলেন, পরিচয় পত্র না দেখালে তিনি মাস্ক খুলে চেহারা দেখতে চান। এ ঘটনার প্রায় ১ মাস পরে ছাত্রীরা প্রভাষক মাহবুবুল হক এর বিরুদ্ধে শ্লীতহানীর অভিযোগ করে আন্দোলন করেন। সভাপতি কে এম মাহবুবুর রহমান অ্যাডহক কমিটি পাশ হওয়ার তিন দিনের মাথায় কলেজে গেলে ছাত্রীরা প্রভাষক মাহবুবুল হক এর বিরুদ্ধে আন্দোলন করলে ঐ সময় সভাপতি সাহেব অভিযুক্ত প্রভাষক মাহবুবুল হককে সাসপেন্ড করেন। তারপর উক্ত কলেজের ছাত্রীরা শেরপুর উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তার নিকট অভিযোগ নিয়ে গেলে ভারপ্রাপ্ত নির্বাহি কর্মকর্তা (ভূমি) এস এম রেজাউল করিম একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেন।
অদ্য সোমবার (৭ অক্টোবর ) উক্ত কলেজের শিক্ষার্থীরা আবারো বিশ্বরোডে আন্দোলন করতে থাকে। আন্দোলনের নেতৃত্ব দিচ্ছেন নন্দ্রীগ্রাম উপজেলা যুবলীগ নেতা মোঃ রাজু আহম্মেদ এর মেয়ে রিস্তা, সে একাদশ শ্রেণীতে পড়ে। এছাড়া জেসী নামক মেয়েও আন্দোলনের নের্তত্ব দিচ্ছেন। আন্দোলনে যুবলীগের নেতৃবৃন্দকে দেখা গেছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন বলেন, শিক্ষক মাহবুবর রহমান প্রায় ত্রিশ বছর যাবৎ চাকুরী করে আসছেন কিন্তু আজকে তার বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ হাস্যকর। এই আন্দোলনের ইন্ধন দাতা অবশ্যই আছে। কারন আমি প্রত্যক্ষ করি আন্দোলনের সময়ে কিভাবে আন্দোলন করতে হবে তাহা মোবাইলে ডিরেকশন দিচ্ছে এবং মাঝে মাঝে যুবলীগের ছেলেরা এসে মোটসাইকেল নিয়ে মহরা দিতে দেখা গেছে।
প্রশ্ন : ছাত্রীদের আন্দোলন পরিক্ষার ফি কমানোর দাবীতে। প্রভাষক মাহবুবুল হক একটি ছাত্রীর মাস্ক খুলার প্রায় ১ মাস পরে ছাত্রীদের অভিযোগ। যুবলীগের ছেলেরা মোটরসাইকেল নিয়ে আন্দোলনরত ছাত্রীদের নির্দেশনা দেওয়া এবং মোবাইলে ডিরেকশন দেওয়া।
শেরপুর টাউন ক্লাব পাবলিক মহিলা অনার্স কলেজের একজন প্রবীন শিক্ষকের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ বাদ দিয়ে ছাত্রীদের ক্লাসে ফিরে যেতে বলেছেন স্থানীয়রা।