রবিবার (১৮ জুন) বেলা ১২ ঘটিকার দিকে উপজেলার ররোয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে উপজেলা সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ ওবায়দুল রহমানের উপস্থিতিতে ররোয়া গ্রামের গ্রামবাসী ধর্ষক মোঃ তরিকুল ইসলামকে পুলিশে তুলে দেওয়ার দাবী করেন। ওই স্কুলের সভাপতি মোঃ মকবুল হোসেন সহ ম্যানেজিং কমিটির সদস্যবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
জানা যায়, গত বৃহস্পতিবার ১৫ জুন বিকাল ৫ ঘটিকায় ররোয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণীর ছাত্রী মোছাঃ সীমা খাতুন ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষক তরিকুল ইসলামের নিকট প্রাইভেট পড়তে যায়। প্রাইভেট পড়ার এক সময় সীমা বাথরুমে গেলে সেখানে প্রধান শিক্ষক তরিকুল ইসলাম জোড় পূর্বক ধর্ষণের চেষ্টা করেন। পরে ঘটনাটি বাসায় জানালে মেয়েটির বাবা মোঃ শফিকুল ইসলাম ও মা সাথী বেগম প্রধান শিক্ষককে জানালে ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে পঞ্চাশ হাজার টাকা দেন এবং পরে ওই টাকা ফেরৎ দেন।
পরে ঘটনাটি এলাকার মধ্যে ছড়িয়ে পড়লে আজ রবিবার স্কুলে শত শত গ্রামবাসী বিক্ষোভ করতে থাকে এবং সহকারী শিক্ষা অফিসার, ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি, সদস্যবৃন্দ ও শেরপুর থানা এসআই রবিউল ইসলাম ঘটনাস্থলে উপস্থিত জনগণকে শান্ত থাকার জন্য আহবান করেন।
শেরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বাবু কুমার সাহা জানান, এ ব্যাপারে অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।