ববঙ্গনিউজবিডি ডেস্ক: উপমহাদেশের প্রাচীন দেশের সর্ববৃহৎ ঐতিহাসিক শোলাকিয়া ঈদগাহ ময়দানে এবারের ঈদুল ফিতরের ১৯৪তম জামাতও অনুষ্ঠিত হচ্ছে না। ভয়াবহ জঙ্গি হামলাও এ ঈদগাহ ময়দানের জামাত ঠেকাতে পারেনি, কিন্তু গত বছরের মতো এবারও করোনা আতঙ্কে জামাত বন্ধ ঘোষণা করল প্রশাসন।
প্রাণঘাতি করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে সারা দেশের মতো করোনার ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা হিসাবে চিহ্নিত কিশোরগঞ্জের এ ঐতিহাসিক ঈদগাহ ময়দানের জামাত বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন কিশোরগঞ্জের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শামীম আলম।
এর আগে ২৬ এপ্রিল সোমবার ধর্ম মন্ত্রণালয় এ সংক্রান্ত এক পরিপত্রও জারি করে। ওই পরিপত্রে পবিত্র ঈদুল ফিতরের নামাজের জামাত এবার ঈদগাহে করা যাবে না বলে জানিয়েছে ধর্ম মন্ত্রণালয়।
মুসল্লিদের জীবন ঝুঁকি বিবেচনা করে এ বছর ঈদগাহ বা খোলা জায়গার পরিবর্তে ঈদের নামাজের জামাত নিকটস্থ মসজিদে আদায় করার অনুরোধ জানানো হয়েছে।
এক বিজ্ঞপ্তিতে ধর্ম মন্ত্রণালয়ের এ নির্দেশনার বিষয়ে জানানো হয়। জামাত শেষে কোলাকুলি এবং পরস্পর হাত মেলানো পরিহার করার জন্যও অনুরোধ করেছে ধর্ম মন্ত্রণালয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, জনস্বাস্থ্য বিবেচনায় স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ কর্তৃক জারি করা নির্দেশনা ও বিশেষ সতর্কতামূলক বিষয়াদি অনুসরণপূর্বক নিম্নবর্ণিত শর্তসাপেক্ষে পবিত্র ঈদুল ফিতরের নামাজের জামাত আদায়ের জন্য অনুরোধ করা হলো।
এ নিয়ে রোববার জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে শোলাকিয়া ঈদগাহ মাঠ উদযাপন কমিটির জরুরি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। ঈদগাহ মাঠ পরিচালনা কমিটির সভাপতি জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শামীম আলমের সভাপতিত্বে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এ বৈঠকে শোলাকিয়ার ১৯৪ তম জামাত বন্ধ রাখার সর্ব সম্মত সিদ্ধান্ত হয়।
উল্লেখ্য, কিশোরগঞ্জ শহরের উপকণ্ঠে নরসুন্দা নদীর উত্তর তীরে অবস্থিত প্রায় ২০০ বছরের ঐতিহ্যবাহী এ বিশালায়তন ঈদগাহ ময়দানের ঈদুল ফিতরের জামাতে দীর্ঘদিন ধরে দেশ-বিদেশের তিন লক্ষাধিক ধর্মপ্রাণ মুসল্লি নামাজ আদায় করে আসছিলেন।
জনশ্রুতি আছে, উপমহাদেশের সর্ববৃহৎ এ ঈদুল ফিতরের জামাতে পরপর তিনবার অংশ নিলে এক হজের সমান সওয়াব হয়। এজন্য ঐতিহাসিক শোলাকিয়া ঈদগাহ ময়দানটি এক শ্রেণির ধর্মপ্রাণ মুসলমানের কাছে গরিবের মক্কা বলে পরিচিত।