মোঃ জামাল উদ্দিন সাতক্ষীরা প্রতিনিধি : সাতক্ষীরা জেলার শ্যামনগরের দ্বীপ ইউনিয়ন ১২ নং গাবুরা ইউনিয়নে ১২২ নং খোলপেটুয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক বর্তমান চলতি দায়িত্ব ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক দেলোয়ার হোসেন (লিটন) কে নিয়ে ঐ এলাকায় একটি স্বার্থনেষী মহল বিভিন্ন অপতৎপরতা চালিয়ে যাওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এহেন কর্মকান্ডে প্রধান শিক্ষক দেলোয়ার হোসেন মানষিক কষ্টে দিনাতিপাত করছেন। তার পৈতৃক নিবাস ঐ খোলপেটুয়া গ্রামেই।
এলাকাবাসী ও স্কুলের অভিভাবক মহলে
সুত্রে জানা যায়, ১২২ নং খোলপেটুয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পরিচালনা পর্ষদ কমিটি নিয়ে, স্কুলের ১৬ শতক রেকডী জায়গা নিয়ে, প্রায় ২৫ লক্ষ টাকার পানির প্লান্টের মালামাল জোরপূর্বক দখল,স্কুলের নির্ধারিত জায়গা দিয়ে জনসাধারণ চলাচলের জন্য ৩ টি পথের ব্যবস্থা নিয়ে দ্বন্দ্বের কারনে প্রধানশিক্ষক দেলোয়ার হোসেন অপর প্রতিপক্ষ হাবিবুল্লাহ মামুন গং এর রোষানলে পড়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।সেটি দেখভাল করার জন্য ১২২ নং খোলপেটুয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন এলাকায় কিছু স্বার্থনেষী মানুষের চোখের বালিতে পরিনত হয়েছে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক দেলোয়ার হোসেন। স্থানীয় শামীম জানান, দেলোয়ার স্যার আসার পর থেকে আমাদের স্কুলের লেখাপড়ার মান উন্নয়ন হয়েছে। দেলোয়ার স্যার স্কুলটিকে সর্বোচ্চ গুরত্ব দেওয়ার জন্য তার বিরুদ্ধে এই ধরনের ষড়যন্ত্র চলছে।
স্থানীয় মারুফ বিল্লাহ সহ অনেকেই জানিয়েছেন-
স্কুলটিতে একটা সময় শিক্ষক সংকট থাকলেও তিনি নিজ উদ্দ্যোগে খন্ড কালিন শিক্ষক নিয়ে পাঠদান করানোর ব্যবস্থা করেন, তিনি বাস্তবে একজন শিক্ষানুরাগী ব্যক্তি, খোলপেটুয়া গ্রামে অপতৎপরতা আলোচনা হচ্ছে, তার বাস্তবতার সাথে কোন মিল পাওয়া যায়নি।
তিনি স্কুলের শিক্ষক হিসাবে ছাত্র অভিভাবকসহ সুধীজনদের নিকট প্রংশসায় আছেন। স্কুল কেন্দ্রিক বিষয় নিয়ে একটি মহল অপতৎপরতায় ব্যস্ত সময় পার কারে তাকে স্কুল থেকে বিতাড়িত করতে কুটকৌশল অবলম্বন করছেন। অথচ প্রধানশিক্ষকের বাড়ি ঐ গ্রামে হওয়ায় তার আত্মীয় স্বজন সহ এলাকাবাসী প্রতিপক্ষদের মধ্যে বিরোধ তীব্রতর হচ্ছে মর্মে জানা গেছে। গুটি কতক ব্যক্তির কারনে স্কুল টির লেখা পড়ার পরিবেশ ধংসের পায়তারা করা হচ্ছে।
যেটা কোন সভ্য সমাজের কাজ হতে পারে না।
তাদের ষড়যন্ত্রে গত মাসের ৫ তারিখে তারা উপজেলা নির্বাহী অফিসার কে ভুল বুঝিয়ে বলেন,ঐ স্কুলে কোন অভিভাবক প্রধান শিক্ষক দেলোয়ারকে চাচ্ছেন না। প্রধান শিক্ষক স্কুলে গেলে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটতে পারে। শিক্ষকের নিরাপত্তার স্বার্থে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উপজেলা শিক্ষা অফিসে মৌখিক ডেপুটেশনের নির্দেশ দিয়েছেন।
বিষয়টি এলাকায় জানাজানি হলে ৬ সেপ্টেম্বর বিকাল ৪ টায় গাবুরা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও বিএনপি নেতা আলহাজ্ব জি এম মাসুদুল আলম বিষয়টি আমলে নিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে আলোচনায় বসেন। সেখানে শত শত লোক ভীড় করে অভিভাবক ও গ্ৰামবাসি চেয়ারম্যানের কাছে এসে বলেন,এই স্কুলের উন্নয়ন কারিগর হলেন প্রধান শিক্ষক দেলোয়ার হোসেন। তাকে এই স্কুল থেকে সরানো হলে আমরা আমাদের ছেলেমেয়েদের এই স্কুলে আর পাঠাবো না। আমরা আমাদের প্রিয় প্রধান শিক্ষক কে চাই।
এলাকার ৯৫% ভাগ মানুষের একটাই দাবি প্রধান শিক্ষক এই স্কুলে থাকবেন। এছাড়া স্কুল এবং এলাকায় শান্তি শৃঙ্খলা নষ্ট করার জন্য অতীতে আওয়ামী লীগ কে সহায়তাকারী হাবিবুল্লাহ আল মামুন সহ শাহাদাত হোসেন রাজিব, ইসমাইল হোসেন বাবু এবং হাফিজুল ইসলাম বুলবুল কে আইনের আওতায় আনার জন্য আহবান করেন।
এ বিষয়টি নিয়ে ১২ নং গাবুরা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব জি এম মাছুদুল আলমের নিকট জানতে চাইলে তিনি জানান, এ ধরনের বিবাদ নিরসে উভয়পক্ষের ভুল-বোঝাবুঝির অবসান ঘটিয়ে এলাকাবাসীর দাবীর প্রেক্ষিতে প্রধানশিক্ষক কে নিয়মিত স্বপদে বহাল রাখতে চেষ্টা করবেন।
প্রধানশিক্ষক বিদ্যালয়টিতে অনিয়মিত থাকতে বাধ্য করা হলে এলাকায় বিরোধ চরম আকার ধরন করে লেখাপড়ার পরিবেশ বিঘ্ন হবে এবং রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের আশু সম্ভবনা রয়েছে। এ ব্যাপারে যথাযথ কর্তৃপক্ষের আশুহস্তক্ষেপ কামনা করা হয়েছে।