মৌলভীবাজার প্রতিনিধি: মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে অবৈধ মেয়াদ উর্ত্তীণ ও বিভিন্ন নকল নামীদামী ব্রান্ডের মোড়ক ব্যবহার করে চা পাতার প্যাকেটজাতের গোডাউনে অভিযান পরিচালনা করেছেন বাংলাদেশ চা বোর্ড।
বৃহস্পতিবার (২১/সেপ্টেম্বর) দুপুরে চা বোর্ডের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো: রুহুল আমিনের নেতৃত্বে শ্রীমঙ্গলের সোনার বাংলা রোডে সমর মিয়ার চা পাতার গোডাউনে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। এসময় আনুমানিক দুই শতাধিক চা পাতার বস্তাসহ গোডাউনটি সীল গালা করা হয়।
চা বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, শহরের সোনার বাংলা রোডের একটি গোডাউনে দীর্ঘদিন থেকে ফিনলে টি কোম্পানি, ভারতীয় চা ব্রান্ড কলকাতা টি-সহ বিভিন্ন নামীদামী ব্রান্ডের মোড়ক নকল করে চা পাতা বাজারজাত চলমান। এসময় গোডাউনের ভেতরে নকল মোড়ক, মেশিনসহ সব ধরনের উপকরণ পাওয়া যায়। গোডাউনের ভেতরে প্রায় দুই শতাধিক চা পাতার বস্তা জব্দ করা হয়েছে। এসব চা পাতা দেশের চা পাতা নয় বলে সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন। এসব চা পাতার বস্তার মধ্যে অধিকাংশ নিম্নমানের ও মেয়াদ উত্তীর্ণ।
গোডাউনের ভেতরে এত অপকর্ম হয় তা এতোদিন কেউ বুঝতে পারেনি। শুক্রবার পুরো বিষয়টি পরিক্ষা নিরীক্ষা করে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করা হবে বলে সংশ্লিষ্টরা জানান। গোডাউনে চা পাতার মূল মালিক সমর মিয়াকে পাওয়া যায়নি, অভিমানের বিষয়ে জানতে পেরে সটকে পড়ে।
এসময় চা বোর্ডের পরিচালক ড. রফিকুল ইসলাম, বাংলাদেশ চা গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিটিআরআই) পরিচালক ইসমাইল হোসেন। শ্রীমঙ্গল থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ জাহাঈীর হোসেন সরদার এর নেতৃত্বে এক দল পুলিশ উপস্থিত থেকে অভিযানে সহায়তা করে।
এ ব্যাপারে চা বোর্ডের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো: রুহুল আমিন জানান, আমরা গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সমর মিয়ার গোডাউনে অভিযান পরিচালনা করি। এসময় ফিনলে টি কোম্পানিসহ দেশের নামীদামী ব্রান্ডের নকল মোড়ক, মেশিন ও আরও বিভিন্ন উপকরণ জব্দ করি। চা পাতা দেখে মনে হচ্ছে এগুলো দেশীয় চা পাতা নয়। বৃষ্টির কারণে আজ পুরো প্রক্রিয়া শেষ করা যায়নি, গোডাউন সীল গালা করা হয়েছে। আগামীকাল শুক্রবার যাচাই-বাছাই করে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করা হবে বলেন।