1. bdweb24@gmail.com : admin :
  2. nemadmin@bongonewsbd24.com : :
  3. him@bdsoftinc.info : Staff Reporter : Staff Reporter
  4. info@wp-security.org : Security_64733 :
শনিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ১২:৪০ অপরাহ্ন
শিরোনামঃ
আন্তর্জাতিক ভূরাজনৈতিক সম্মেলন শুরু আজ, ভাষণ দেবেন ড. ইউনূস হাসপাতালে আহতদের ক্ষোভ ‘ষড়যন্ত্রমূলক’, শেয়ার করলেন হাসনাত-সারজিস সাবেক প্রধান বিচারপতি ফজলুল করিম মারা গেছেন গাজায় ইসরায়েলি হামলায় নিহত আরও ২৮ ফিলিস্তিনি শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা, রাজবাড়ীতে যুবলীগ সভাপতি গ্রেপ্তার পটুয়াখালী জেলা গলাচিপায় উত্তর চর কাজল গ্যাস ফিল্ড ৬ তম ফুটবল টুর্নামেন্ট অনুষ্ঠিত জনগণের প্রত্যাশা পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিবে : আমিনুল হক গুমের বিরুদ্ধে আইন করতে সরকারের আন্তরিকতার ঘাটতি নেই: আইন উপদেষ্টা দলীয় দাসত্ব থেকে বের হতে সবার মতামত প্রয়োজন: আসিফ মাহমুদ বাংলাদেশে নেপালের বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু

সংসদে তোপের মুখে স্বাস্থ্যমন্ত্রী

রিপোর্টার
  • আপডেট : সোমবার, ৭ জুন, ২০২১
  • ১৬৪ বার দেখা হয়েছে

বঙ্গনিউজবিডি ডেস্ক : স্বাস্থ্যখাতের নানা অনিয়ম, দুর্নীতির ঘটনায় সংসদে তোপের মুখে পড়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। এ নিয়ে তিনি কোনো কথা বলেননি। এসব প্রসঙ্গ এড়িয়ে করোনা মোকাবিলায় বাংলাদেশ সফলতা দেখিয়েছে দাবি করে মন্ত্রী বলেন, দেশের মানুষের জীবনযাত্রা স্বাভাবিক রয়েছে। সোমবার জাতীয় সংসদে সম্পূরক বাজেটের ওপর আলোচনায় ও ছাঁটাই প্রস্তাবের ওপর আলোচনায় অংশ নিয়ে বিরোধী দলের সদস্যরা মন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে এসব বিষয়ে নানা প্রশ্ন করেন। জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও সংসদে বিরোধীদলীয় উপনেতা গোলাম মোহাম্মদ কাদের বলেন, যারা পুকুর চুরি করছেন, তারা বেরিয়ে যাচ্ছেন। যারা এসব প্রকাশ করছেন, তারা নানা সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন। অনুসন্ধানী সাংবাদিকতা জবাবদিহি নিশ্চিতে কাজ করে। সাংবাদিকদের এটুকু সুযোগ দেয়া সমাজের দায়িত্ব।

তিনি আরও বলেন, প্রস্তাবিত বাজেটে স্বাস্থ্যখাতে বরাদ্দ জিডিপির শূন্য দশমিক ৮৩ শতাংশ।

এটা ৪ থেকে ৫ শতাংশ দেয়া উচিত ছিল। করোনা মহামারির কারণে বাড়ানো উচিত ছিল। কমপক্ষে জিডিপির ২ শতাংশ উচিত। করোনা নিয়ন্ত্রণে এলে অর্থনীতি চাঙ্গা হবে। তাই স্বাস্থ্যের দিকে খেয়াল করতে হবে। এটাকে অবহেলা করা উচিত নয়। কিন্তু অবহেলা করা হচ্ছে।
বিএনপির সংসদ সদস্য হারুন অর রশীদ বলেন, ‘স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়কে ঢেলে সাজাতে হবে। এটা সংস্কার করত হবে। বাংলাদেশের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় দুর্নীতির ডিপো। এই দুর্নীতি কীভাবে সংস্কার করবেন, এ ব্যাপারে আমাদের সুস্পষ্টভাবে জানাবেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।

তিনি বলেন, স্বাস্থ্য বিভাগ সত্যিকারভাবে আজ ভারতনির্ভর হয়ে গেছে। এতে বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার ভারতে চলে যাচ্ছে। যদি আমরা সত্যিকার অর্থে স্বাস্থ্য বিভাগকে ঢেলে সাজাতে পারি, সংস্কার করতে পারি তাহলে বিদেশে স্বাস্থ্যখাতে যে ব্যাপক টাকা চলে যায়, তা যাবে না।

বিএনপির সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা বলেন, ‘করোনাকাল হওয়া সত্ত্বেও এ বছর আমরা স্বাস্থ্য ও শিক্ষার মতো বেসিক জিনিসগুলোর ওপর যদি নজর না দিই, ভৌত অবকাঠামোর দিকে যদি আমরা সারাদিন তাকিয়ে থাকি, তাহলে করোনা বলেন আর যাই বলেন দেশের সাধারণ মানুষের কোনো উপকার হবে না। ১০ হাজার মানুষের মাথাপিছু ডাক্তার আছে মাত্র পাঁচজন। আর নার্স আছে মাত্র তিনজন। এই অপ্রতুল জনগণ নিয়ে কীভাবে হাসপাতালগুলো চলবে? কীভাবে আমরা স্বাস্থ্যখাতকে ঢেলে সাজাবো? কীভাবে আমরা সাধারণ মানুষকে সেবা দেব?’

জাতীয় পার্টির রওশন আরা মান্নান বলেন, ‘স্বাস্থ্যখাতে নজর দিলে দেখা যাবে, এখানে অস্বাস্থ্যকর কাজকর্মই বেশি। স্বাস্থ্যখাতের আফজালরা নতুন রূপকথার মতো গল্প ও অনিয়ম করছে। যদিও বর্তমানে স্বাস্থ্যমন্ত্রী ও প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপে কিছুটা কমে আসছে। কিন্তু তারপরও থামানো যাচ্ছে না। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের লোকজন বলছেন স্বাস্থ্যখাতে আফজাল-মালেকরা ছাড়াও সেখানে অনেক মালেক ও আফজাল আছে। এগুলো শক্ত হাতে দমন করতে হবে। একজন নারী উপসচিবের কানাডা ও বিশ্বের অন্যান্য দেশে তিন-চারটা বাড়ি আছে।

সাংবাদিক রোজিনা ইসলামকে হেনস্তার প্রসঙ্গ তুলে তিনি বলেন, ‘একজন নারী সাংবাদিক যদি অন্যায় করে থাকেন, তাহলে তাকে পুলিশে দিলো না কেন? তাকে ৬ ঘণ্টা নির্যাতন করে কেন পুলিশে দেয়া হলো? আইন কেন নিজ হাতে তুলে নিলো? দেশবাসী এটা নিয়ে অনেক বেশি সমালোচনা করছে।

সংসদ সদস্যদের এসব প্রশ্নের কোনো জবাব দেননি স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। বক্তৃতায় তিনি বলেন, স্বাস্থ্যসেবা একটি ব্যাপক কর্মযজ্ঞ। দেড় বছর ধরে করোনা চলছে। তারা সেবা দিয়ে যাচ্ছেন। করোনা মোকাবিলায় সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগের কথা তুলে ধরে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ওষুধের কোনো ঘাটতি হয়নি। অক্সিজেনের অভাব কখনোই হয়নি। আমেরিকায় যে চিকিৎসা এখানেও একই চিকিৎসা হয়েছে। ভ্যাকসিন কার্যক্রম চলমান আছে। এসব কারণে মৃত্যুর হার দেড় শতাংশ। বিশ্বে এই হার আড়াই শতাংশ।

তিনি বলেন, ভারতে করোনা বেড়ে যাওয়ায় সেরাম ইনস্টিটিউট টিকা সরবরাহ করতে পারছে না। চীন, রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্র থেকে ব্যবস্থা করা হয়েছে। ইতোমধ্যে টিকা নিয়ে চুক্তিও হয়েছে। আরও অনেক ভ্যাকসিন কিনতে হবে। প্রতিটা ব্যক্তির ক্ষেত্রে টিকার জন্য প্রায় তিন হাজার টাকা করে লাগবে। করোনার সময়ও প্রতিটি ব্যক্তির জন্য সাধারণ শয্যায় চিকিৎসা নিতে ১৫ হাজার টাকা ব্যয় হয়েছে। এটা সরকার বহন করেছে। যারা আইসিইউতে ছিলেন তাদের জন্য ৫০ হাজার টাকা করে খরচ করেছে। করোনা মোকাবিলায় বাংলাদেশ খুবই সফলতা দেখিয়েছে।

Please Share This Post in Your Social Media

এই বিভাগের আরো সংবাদ

© ২০২৩ bongonewsbd24.com