বঙ্গ নিউজ বিডি ডেস্ক: সচিবালয়ে ঢুকে বিক্ষোভ করার ঘটনায় গ্রেপ্তার ২৬ জন সদ্য ঘোষিত ‘নিষিদ্ধ’ ছাত্র সংগঠন ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত বলে জানিয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)।
এর আগে শাহবাগ থানায় পুলিশের দায়ের করা একটি মামলায় তাদের গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে সোপর্দ করা হয়।
গ্রেপ্তাররা হলেন, জহিরুল ইসলাম (২০), ফয়সাল হাসান (২১), রায়হান হোসেন (২১), রুবেল আহম্মেদ (১৮), রিয়াদ মাহমুদ (২১), মেজবাউল রহমান মিল্লাদ (১৮), মেহেদী হাসান (১৮), মো. সোয়ান (২১), ইমরান হোসেন আরমান (১৮), মেহেদী হাসান অন্তর (১৯), মো. সাগর (১৮), মো. রোহান (১৮), শাহারিয়ার হোসেন সোয়াদ (১৮), আহাদ মোল্লা (২২), মো. সোহান (১৮), মো. মাসনুন (১৮), মো. নাঈম (১৮), ইমাম হাসান (১৮), মো. শাকিল (১৮), মো. সেলিম (১৮), সাকলাইন মুস্তাক (১৮), হানজালাল (২২), মশিউর রহমান (১৮), মো. প্রান্তিক (১৮), তাছিম রহমান (১৮) ও রবিন মিয়া (১৮)।
ডিএমপি জানিয়েছে, বুধবার (২৩ অক্টোবর) বিকাল আনুমানিক সাড়ে ৩টার দিকে গ্রেপ্তারকৃতরাসহ অজ্ঞাতনামা আরও ৬০-৭০ জন উচ্ছৃঙ্খল যুবক জোরপূর্বক বাংলাদেশ সচিবালয়ে প্রবেশ করে। তারা সম্প্রতি প্রকাশিত এইচএসসি পরীক্ষার ফলাফল বাতিলের দাবিতে রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় জোরপূর্বক প্রবেশ করে নৈরাজ্য সৃষ্টির অপতৎপরতা চালায়।
ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান জানান, পুলিশের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে সরকারি কাজে বাধার সৃষ্টি করে এবং সরকারি স্থাপনা ভাঙচুর করে প্রায় তিন লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি করা হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ও সচিবালয়ে নিরাপত্তার স্বার্থে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ৫৪ জনকে আটক করে। আটককৃতদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ২৮ জনকে মুচলেকা গ্রহণপূর্বক তাদের অভিভাবকের জিম্মায় দেওয়া হয়। বেআইনি সমাবেশের মাধ্যমে, বেআইনি জনতা দলবদ্ধ হয়ে বাংলাদেশ সচিবালয়ে প্রবেশ করে দাঙ্গা সৃষ্টি করে সরকারি কাজে বাধা প্রদানসহ আঘাত, সরকারি স্থাপনা ভাঙচুর করে ক্ষতি এবং ভয় ভীতি ও হুমকি প্রদানের অভিযোগে গ্রেপ্তার ২৬ জনসহ অজ্ঞাতনামা আরও ৬০-৭০ জনের বিরুদ্ধে শাহবাগ থানায় একটি মামলা হয়েছে।
তিনি বলেন, গ্রেপ্তাদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগের সঙ্গে জড়িত বলে জানা গেছে। গ্রেপ্তার ২৬ জনকে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।
গত ২৫ আগস্ট ডিএমপি কমিশনার মো. মাইনুল হাসান স্বাক্ষরিত এক গণবিজ্ঞপ্তিতে ২৬ আগস্ট থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বাংলাদেশ সচিবালয় এবং প্রধান উপদেষ্টার সরকারি বাসভবন (যমুনা) এর আশেপাশের এলাকায় কোনো প্রকার সভা, সমাবেশ, মিছিল, শোভাযাত্রা ও বিক্ষোভ প্রদর্শন নিষিদ্ধ করা হয়।