আজ দুপুর ১২টার দিকে ফেসবুকে নিজের ‘নোবেল ম্যান’ পেজে পোস্টটি করেন নোবেল। আমাদের সময় অনলাইন মাধ্যমের পাঠকদের জন্য হুবহু তুলে ধরা হলো-
‘মাতৃত্ব কেবল মাত্র একজন নারীর জন্যই পবিত্র কিংবা সম্মানের বিষয় নয়। একজন পুরুষের জন্যেও অত্যন্ত আনন্দের এবং খুব গর্বের একটি বিষয়। এগুলো নিয়ে কেউ মিথ্যাচার করে না। একটি শিশুকে ১০ মাস ১০ দিন গর্ভে ধারণ করেন মা। কিন্তু শিশুর পিতা কিন্তু সেই মা-কে ১০ মাস বুকে আগলে রাখে।
আমার স্ত্রী, সালসাবিল তাঁর অন্তঃসত্ত্বা হবার লক্ষণগুলো আমার সাথে শেয়ার করেন এবং তার ফলশ্রুতিতে আমি এক্সাইটেড হয়ে স্ট্যাটাসটি গণমাধ্যমে প্রকাশ করি। সম্ভব্য পিতা হিসেবে বিষয়টা কী স্বাভাবিক নয়? আপনি বাবা হবার ইঙ্গিত পেলে নিজে কী করতেন বলুন? আমি মাত্র ২৩ বছর বয়সে বাবা হবার খুশি ধরে রাখতে পারিনি।
তবে স্ট্যাটাসটি দেয়ার কিছুক্ষণের মধ্যে আমার স্ত্রী, সালসাবিল আমাকে ফোন করে বাচ্চা “এবর্শন” করে ফেলবে, এই হুমকি দেয়। কারণ আমি নাকি তাঁর বাচ্চার বাবা হবার যোগ্য না। আমার অনেক হেটার্স! অনেক কন্ট্রোভার্সি। ব্যাংক ব্যালেন্স এই মুহূর্তে একটু কম। যেহেতু আমাদের শিল্পীদের গত বছর মার্চ থেকে “লাইভ কন্সার্ট” বন্ধ। তাছাড়া দুজন প্রাপ্তবয়ষ্ক ছেলে-মেয়ে স্বসম্মতিতে বিয়ে করেছি, তাই আমার স্ত্রীর পিতৃপক্ষ কোনোভাবেই আমাদের বিয়ে টিকতে দেবে না। এমনকি আমার ঘরের তালা ভেঙে ঘরে ঢুকে আমাকে ভয় দেখানোর চেষ্টা করা হয়েছে।
যদিও আমি আমার স্ত্রীকে মেডিকেল টেস্ট করবার আগেই আনন্দে উৎফুল্ল হয়ে স্ট্যাটাসটি দেই। মেডিকেল করলে হয়তো পজিটিভই আসতো। তবে জানিনা এতক্ষণে আমার সম্ভব্য বাচ্চাটি জীবিত আছে নাকি “পিলস” খেয়ে শিশুটির মা শিশুটিকে খুন করেছে। তবে কয়েকটি মাস পর যে শিশু বা ফেরেস্তাটি পৃথিবীর আলো দেখতো, আমার প্রাণ চলে গেলেও আমি তার প্রাণহানি হতে দিতাম না।
কিন্তু আমি তো আমার স্ত্রীর কোনো সন্ধানই যানি না। কোথায় থাকে, কার সাথে থাকে, কি করে, কি পরে, কি খায়? কিছুই যানি না। এই ১.৫ বছরের বৈবাহিক জীবনে আমার সঙ্গে আমার স্ত্রী খুব অল্প সময়ই ছিল। কারন সে তার পড়ালেখা এবং তার বাবা-নানু-খালা-বোনদের নিয়ে ব্যস্ত থাকে। সংসারটা এখনও আমার করা হয়নি। হয়তো হবে একদিন।
আমাদের সম্প্রতি পাবনা ট্যুরে আমার স্ত্রী নিজেই বলেছেন তিনি বাচ্চা নিতে ইচ্ছুক। তবে কেনো আজ এই কাঁদা ছোঁড়াছুড়ি। সাংবাদিক ভাইদের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি, আমার বক্তব্য সংবাদ মাধ্যমে প্রচার করার জন্য। ধন্যবাদ।’
এর আগে গত বুধবার নিজের অ্যাকাউন্ট থেকে লাইভে এসে সালসাবিল বলেন, ‘আমার ফ্রেন্ডসরা আমাকে নোবেলের দেওয়া স্ট্যাটাস ইনবক্স করল, যেখানে লেখা ছিল নোবেল বাবা হতে চলেছে। আমি মা হতে চলেছি। ওখান থেকেই আমার প্রথম জানা যে, আমি নাকি মা হতে চলেছি। আমি প্রেগন্যান্টও না, না আমি মা হতে চলেছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমার ফ্যামিলি আছে, আত্মীয়-স্বজন আছে, আমার ফ্রেন্ডরা আছে। সবাই আমাকে কল দিচ্ছে, কেউ কেউ কংগ্র্যাচুলেট করছে। কেউ কেউ বলছে কী ঘটনা, হেন তেন.. আমি তো কিছুই জানি না। আমি এখনো জানি না নোবেল কেন এমন স্ট্যাটাস দিলো। আমি তো প্রেগন্যান্ট না।’
তার আগের দিন নোবলে ফেসবুকে তার পেজে পোস্ট দেন- ‘আলহামদুলিল্লাহ। হয়তো আমরা মা-বাবা হতে চলেছি। আমি এবং আমার সহধর্মিণীর জন্য দোয়া করবেন।’ তার এই পোস্ট নিয়ে অনেক বিতর্ক হয়। নেটিজেনরা নানা ধরনের মন্তব্য করেন এই পোস্টে।