বঙ্গনিউজবিডি ডেস্ক: সবুজ লাউয়ের লতায় ছেঁয়ে গেছে পুরো ক্ষেত। লতা জুড়ে সবুজ পাতার ফাঁকে ধরেছে লাউ। কোনো কোনো লতায় ফুল আর নতুন কুঁড়ি গজাচ্ছে। নীলফামারী সদর উপজেলার লক্ষীচাপ ইউনিয়নের কচুয়া গ্রামের শনুরাম রায়ের সবজি ক্ষেতে গেলে এমনি দৃশ্য চোখে পরে।
গত জুলাই মাসের প্রথম সপ্তাহে দেশী ও হাইব্রীড জাতের বীজ বাজার থেকে ক্রয় করে ৪৫ শতাংশ জমিতে লাউ চাষ করেছেন। এতে প্রায় তিনি ১২ হাজার টাকা খরচ করেছেন। এবার চাষাবাদের খরচ মিটিয়েও প্রায় ৩০ হাজার টাকা লাভ হয়েছে তার।
নীলফামারীর জমি লাউ চাষের উপযোগী। অল্প খরচে লাভ বেশী হওয়ায় এবং চাষাবাদ পদ্ধতি সহজ হওয়ায় এই এলাকার বেশির ভাগ কৃষকেরাই ঝুকে পড়েছেন লাউ চাষে। শনুরাম রায় বলেন, বর্তমানে বাজারে একটি লাউ বিক্রি হচ্ছে ২৫ টাকা থেকে ৫০ টাকা দরে। প্রথমদিকে ১০০ লাউ বিক্রি করেছি ৪ হাজার হতে ৫ হাজার টাকায়।
একই এলাকার কৃষক ডালিম চন্দ্র বলেন, কয়েক বছর ধরেই লাউ চাষ করছি। কম সময়ে এবং অল্প খরচে লাভ বেশী হওয়ায় কদর বেড়েছে এই ফসলের। নীলফামারীর চাহিদা মিটিয়ে ঢাকাসহ বিভিন্ন স্থানে ব্যবসায়ীরা লাউ নিয়ে যাচ্ছে পরিবহনে।
নীলফামারী জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক কৃষিবিদ আবু বক্কর সিদ্দিক বলেন, এবারে জেলায় ৫৫ হেক্টর জমিতে লাউ চাষাবাদ করা হয়েছে। তাছাড়া জমির শ্রেণিভেদে বছরে তিনবার রবি শস্য ও সবজি চাষ করা যায়। এলাকার মানুষের পুষ্টির চাহিদা মেটাতে লাউয়ের পাশাপাশি কুমড়ো, লালশাক, টমেটো, পেঁপে, কপি, ঢেড়স বরবটি, পুঁইশাকসহ বিভিন্ন সবজি চাষাবাদ করতে মাঠে গিয়ে কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে।