বৃহস্পতিবার সকালে ঠাকুরগাঁও শহরের কালিবাড়িস্থ নিজ বাসভবনে সাংবাদিকদের সাথে মত বিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, আসল কথা গণমাধ্যমে উঠে আসবে না। আপনারা (সাংবাদিক) যারা লেখার চেষ্টা করেন তারাও জানেন, মূল বিষয় বাদ দিয়ে প্রচার হবে। ফলে সাংবাদিকতার সাথে সাথে মুক্ত গণতন্ত্রও বিনষ্ট হয়ে গেছে। গণমাধ্যমের পাশাপাশি সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরাও সত্য বলার চেষ্টা করত। কিন্তু তাদের মধ্যে এক শ্রেণির সুবিধাভোগী তৈরি করা হয়েছে। যাদের সরকার অর্থ দিচ্ছে, জমি দিচ্ছে, বাড়ি-গাড়ি দিচ্ছে। এসব দিয়ে তাদের মুখ বন্ধ করে রাখছে।
তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশের জনগণের বেঁচে থাকাই এখন কষ্টকর হয়ে দাঁড়িয়েছে। নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের দাম তো আকাশচুম্বি হয়েছেই, সেই সাথে শিক্ষা ব্যয় অনেক বেড়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের খরচ অনেক বাড়ার সাথে শিক্ষার উপকরণের দাম অনেকাংশে বেড়ে গেছে। শিক্ষা ব্যবস্থাকে একটা পণ্যে পরিণত করা হয়েছে।
মির্জা ফখরুল বলেন, রোগীরা হাসপাতালে গিয়ে চিকিৎসা পাচ্ছে না। ওষুধের দাম বেড়েছে। কয়েকদিন আগে প্রায় ৫০টি ওষুধের দাম ৫৪ থেকে ১৩৫ শতাংশ বৃদ্ধি করা হয়েছে। এটা মানুষের জন্য একটা ভয়ঙ্কর সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রত্যেক ক্ষেত্রে মূল্যবৃদ্ধি করে মানুষের জীবনকে অতিষ্ঠ করে ফেলা হয়েছে। মূল্যস্ফীতি বেড়েছে প্রচণ্ডভাবে। আমরা এ লক্ষ্যে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছি।
এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মির্জা ফয়সল আমীন, সহ-সভাপতি ওবায়দুল্লাহ মাসুদ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আনসারুল হকসহ বিএনপির অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ।