বঙ্গনিউজবিডি ডেস্ক : রংপুরে দৈনিক পর্যবেক্ষণ পত্রিকার ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি আশিকুর রহমান আশিক হত্যায় জড়িতদের দ্রুত গ্রেফতার এবং ফাঁসির দাবিতে মানববন্ধন করা হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার (১৭ জানুয়ারি) দুপুরে রংপুর কাচারী বাজারে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে দৈনিক পর্যবেক্ষণ পরিবার রংপুরের উদ্যোগে এ মানববন্ধনের আয়োজন করা হয়।
মানববন্ধনে রংপুরের বিভিন্ন সাংবাদিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দসহ রংপুরে কর্মরত প্রিন্ট, ইলেকট্রনিক ও অনলাইন নিউজ পোর্টালের সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।
দৈনিক পর্যবেক্ষণ পত্রিকার প্রধান প্রতিবেদক আলমগীর ইসলামের সভাপতিত্বে এবং দৈনিক পর্যবেক্ষণ পত্রিকার জেলা প্রতিনিধি এম আরমান হোসেনের সঞ্চালনায় উক্ত মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন যমুনা টেলিভিশনের রংপুর অফিস প্রধান সরকার মাজাহারুল মান্নান, আরটিভির রংপুর অফিস প্রধান জাহাঙ্গীর আলম বাদল, এশিয়ান টেলিভিশন এর রংপুর অফিস প্রধান বাদশাহ ওসমানী, হাজীরহাট মেট্রো. প্রেসক্লাবের সভাপতি কোরবান আলী লিটন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শেখ হারুন, সাংবাদিক শরিফা বেগম শিউলিসহ অনেকেই।
এসময় বক্তারা বলেন, সাংবাদিকরা আজ নির্যাতিত। তাদের নিরাপত্তার অভাব কর্মক্ষেত্রে। আশিক হত্যায় যারা জড়িত তাদের সকলকে গ্রেফতার করে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে শাস্তি প্রদান করতে হবে।
মানববন্ধনে আরো উপস্থিত ছিলেন রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি সাংবাদিক অপু ও সাধারণ সম্পাদক সাংবাদিক শিমুল, দৈনিক পর্যবেক্ষণ পত্রিকার বদরগঞ্জ প্রতিনিধি মোস্তাফিজার রহমান, ফটো সাংবাদিক রঞ্জিত দাস, সাংবাদিক আসাদুজ্জামান আফজাল, সাংবাদিক রুহুল আমিন লেলিন, সাংবাদিক কাশেমসহ আরো অনেকে।
দৈনিক পর্যবেক্ষণ পত্রিকার প্রধান প্রতিবেদক আলমগীর ইসলাম বলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পূর্ববিরোধের জের ধরে দুর্বৃত্তের ছুরিকাঘাতে আশিকুর রহমান আশিককে হত্যা করা হয়েছে। গত সোমবার (৯ জানুয়ারি) সন্ধ্যা ছয়টার দিকে জেলা শহরের ফারুকী পার্কে এ ঘটনা ঘটে।
তিনি জানান, ঐদিন বেলা আড়াইটার দিকে জেলা শহরের ফারুকী পার্কে বাতিঘর সংগঠনের একটি বৈঠক ছিল। সংগঠনের অন্য সদস্যরা বাড়ি থেকে আশিকুরকে ডেকে সেখানে নিয়ে যান। বৈঠক শেষে সন্ধ্যায় পার্কের প্রধান ফটক থেকে শহরের ভেতরে যাওয়ার জন্য সংগঠনের অন্য সদস্যদের সঙ্গে ব্যাটারিচালিত ইজিবাইকে ওঠেন আশিকুর। এ সময় এগিয়ে এসে আশিকুরের বুকের বাঁ পাশে ছুরিকাঘাত করেন রায়হান। পরে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যান রায়হান। সংগঠনের সদস্যরা আশিকুরকে উদ্ধার করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যান। হাসপাতালের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক মো. আরফাত তাকে মৃত ঘোষণা করেন।