বঙ্গনিউজবিডি ডেস্ক: সাম্প্রতিক সময়ে ছুটি নেয়ার প্রবণতা এবং টেস্টে কম খেলার কারণে সমালোচনায় পড়তে হয়েছে টাইগার অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসানকে। গুঞ্জন রয়েছে টেস্ট খেলতে চান না তিনি। নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে ফেরার পর বাংলাদেশের খেলা আট টেস্টের মাঝে মাত্র তিনটিতে খেলেছেন সাকিব। বাকি পাঁচটির মাঝে দুইটি হাতছাড়া করেছেন ইনজুরির কারণে।
গত বছর শ্রীলঙ্কা সফরে টেস্ট খেলা বাদ দিয়ে আইপিএলে খেলতে যাওয়ায় বিতর্কের মুখে পড়েছিলেন অভিজ্ঞ এই অলরাউন্ডার। বাংলাদেশের অন্যান্য ক্রিকেটারদের তুলনায় বেশি ম্যাচ খেলতে হয় সাকিবকে। পরিবারের সবাই যুক্তরাষ্ট্রে থাকায় জৈব সুরক্ষা বলয়ের কারণে সব ফরম্যাটে খেলা বেশ খানিকটা কঠিন হয়ে গেছে সাকিবের জন্য।
সাকিবের ছুটি নিয়ে যখন নানা মহলে আলোচনা তুঙ্গে তখন এই অলরাউন্ডারের ছুটির পক্ষে সাফাই গাইলেন জাতীয় দলের টিম ডিরেক্টর খালেদ মাহমুদ সুজন। তার মতে তুলনামূলক কম গুরুত্বপূর্ণ সিরিজগুলোতে সাকিবকে ছুটি দেয়াই সঠিক সিদ্ধান্ত।
চলমান পরিস্থিতিতে জৈব সুরক্ষা বলয় বড় ফ্যাক্টর হয়ে দাঁড়িয়েছে বলে মনে করেন সুজন। তিনি বলেন, আসলে সাকিবের ইস্যুটা সবাই আমরা যদি ওই ভাবে চিন্তা করি তাহলে সাকিব কিন্তু আমাদের দেশের ক্রিকেটারদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ক্রিকেট খেলে। জৈব সুরক্ষা বলয় ফ্যাক্টরটা কিন্তু ওর জন্য অনেক বেশি হয়।
জাতীয় দলের হয়ে তিন ফরম্যাটেই গুরুত্বপূর্ণ সাকিব তা পানির মতই পরিস্কার। সাকিব দলে থাকলে মাঠের লড়াইটা যে অন্যরকম রূপ নেয় সেটাও স্পষ্ট। তবে সুজনের মতে টেস্ট কিংবা ওয়ানডেতে কম গুরুত্বপূর্ণ সিরিজগুলোতে সাকিবকে ছুটি দিলে খুব বেশি ক্ষতি নেই।
সুজন আরও বলেন, অবশ্যই, সাকিব তিন ফরম্যাট খেলুক এটা আমরা সবাই চাই। তারপরও হয়ত ওর সঙ্গে যদি বসি, আমরা যদি একটু কথা বলি, কোন ট্যুরগুলো গুরুত্বপূর্ণ না বা টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের অধীনে নেই কিংবা ওয়ানডেতে পয়েন্ট নেই ঐগুলাতে যদি আমরা ওকে বিরতি দেই এটা কোনো সমস্যা না।
টেস্ট ক্রিকেটে সাকিবের না খেলা নিয়ে নানা গুঞ্জন থাকলেও তা মানতে নারাজ সুজন। সাকিবের পক্ষ থেকে কখনও টেস্ট ক্রিকেটকে না করা হয়নি জানিয়ে সুজন বলেন, আমাদের মূল ম্যাচগুলাতে যেন খেলে এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এটা নিয়ে সাকিবের সঙ্গে বসতে হবে। সে কোনো সময়ই বলেনি খেলবে না। ও বলেছে হয়ত এই সিরিজটা বা এই ম্যাচটা খেলব না। আমার মনে হয় আমাদের যোগাযোগের পার্থক্য আছে।
উল্লেখ্য, কয়েক মাস আগে এক সাক্ষাৎকারে সাকিবও জানিয়েছিলেন, টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ বা ওয়ানডে সুপার লিগের মর্যাদাপ্রাপ্ত ম্যাচগুলো বাদে বাকি খেলাগুলোয় অংশ নেওয়ার ইচ্ছা কম তার। সুজন মনে করেন, সাকিবের সাথে আগেই আলোচনা করে নেওয়া উচিৎ কোন সিরিজে তিনি খেলবেন আর কোন সিরিজে খেলবেন না।