আজ রোববার মিরপুর শের-ই বাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামে পারটেক্স স্পোর্টিং ক্লাবের সঙ্গে প্রাইম দোলেশ্বরের ম্যাচে শাহাদাত হোসেনকে আম্পায়ারের সিদ্ধান্তে অসন্তুষ্ট হতে দেখা যায়।
পারটেক্সের দেওয়া ১৩৪ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করছিল দোলেশ্বর। লড়াইটা বেশ জমজামাটপূর্ণ হচ্ছিল। শেষের দুই ওভারে দোলেশ্বরের প্রয়োজন ছিল ১৩ রান। ১৯তম ওভারে বল করতে আসেন পেসার শাহাদাত হোসেন। তার করা প্রথম বলে এক রান তোলেন ব্যাটসম্যান শামীম। এরপর প্রান্ত বদল করে স্ট্রাইক প্রান্তে যান ফজলে মাহমুদ। শাহাদাতের করা দ্বিতীয় বলটি তার পায়ে লাগলে জোড়াল আবেদন করেন পারটেক্সের খেলোয়াড়রা। তাতে সাড়া দেননি মাঠে থাকা ফিল্ড আম্পায়ার। এতে ক্ষিপ্ত হতে দেখা যায় শাহাদাতকে।
পরের বলে ৭১ রানে থাকা ফজলে মাহমুদকে মেহরাব হোসেনের তালুবন্দি করান শাহাদাত। তখনো তাকে বেশ উত্তেজিত দেখা যায়। ফজলে মাহমুদের দিকে তাকিয়ে পাগলাটে উদযাপনে আম্পায়ারের আগের সিদ্ধান্তে কতটা অসন্তুষ্ট ছিলেন, তা প্রকাশ করেন এই পেসার। যদিও পরে দুই আম্পায়ারের সঙ্গে কথা বলতে দেখা গেছে তাকে।
এদিকে, দিনের অন্য ম্যাচে সাভারের বিকেএসপিতে লিজেন্ড অব রূপগঞ্জ ও শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাবের মধ্যকার ম্যাচেও আম্পায়ারের সিদ্ধান্তে অসন্তষ্টু হয়েছেন সাব্বির হোসেন। রূপগঞ্জের ইনিংসের তখন ১৫তম ওভারের খেলা চলছিল। বোলার সালাহউদ্দিন শাকিল ওভারের পঞ্চম বলটি করলেন অফ স্টাম্পের বেশ বাইরে। সেটি খেলার চেষ্টা করলেন সাব্বির। তবে বল সরাসরি গিয়ে আটকাল উইকেটরক্ষক নুরুল হাসান সোহানের গ্লাভসে। বোলার-কিপার দুজনই জোরাল আবেদনে সাড়া দিলেন ফিল্ড আম্পায়ার। তবে এমন সিদ্ধান্ত মানতে নারাজ সাব্বির। উইকেটও ছাড়তে চাইলেন না। আম্পায়ারকে হাতের ইশারায় বোঝালেন এটি কোনোভাবেই তার ব্যাট স্পর্শ করেনি।
তবে নিজের সিদ্ধান্ত অনড় ফিল্ড আম্পায়ার। সাব্বিরও তার জায়গা ছাড়তে নারাজ। এরপর তার জাতীয় দলের সতীর্থ সোহানকে দেখা গেল সাব্বিরের সঙ্গে কথা বলতে। ভিডিও ফুটেজ দেখেও বোঝা গেল, শাকিলের করা বলটি সাব্বিরের ব্যাটের বেশ বাইরে দিয়ে গিছে। পরে একরাশ হতাশা নিয়ে ড্রেসিংরুমে ফিরে যান সাব্বির। এতে থামে তার ৩১ বলে ৪১ রানের ইনিংসটি। শেষপর্যন্ত বৃষ্টি আইনে শেখ জামাল জয় পায় ৭ রানে।
ঘটনাগুলোর পর ম্যাচ অফিশিয়ালি রকিবুল হাসানের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হয়। তবে তিনি জানালেন, এ বিষয়ে গণমাধ্যমে কথা বলা নিয়মবহির্ভূত।