বঙ্গনিউজবিডি ডেস্ক: সেশনজট নিরসনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) অধিভুক্ত সাত কলেজের স্নাতকের এক বছরের সেশন আট মাসে শেষ করার কথা থাকলেও এখন পর্যন্ত এই পরিকল্পনার অগ্রগতি নেই।
করোনায় চলমান পরিস্থিতিতে দীর্ঘদিন বন্ধ দেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলো। সে কারণে সেশনজট কমাতে পরিকল্পনা নেয়া হয় স্নাতক শ্রেণির এক বছরের সেশন আট মাসে শেষ করার। কিন্তু পরিকল্পনা থাকলেও নেই অগ্রগতি।
জানা যায়, সেশনজটের ধাক্কা সামাল দিতে বিশেষ পদক্ষেপ নেয়া হবে। কিন্তু থমকে আছে সেটাও। এদিকে শোনা যাচ্ছে এ ধরনের প্রস্তাব ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে জমাই দেয়নি সাত কলেজ প্রশাসন। আদৌ এ সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন হবে কিনা কিংবা বাস্তবায়ন হলে কীভাবে হবে সে বিষয়েও কেউ এখনও নিশ্চিত নয়।
গত এপ্রিলে সেশনজট নিরসনে শিক্ষাবর্ষ আট মাসে শেষ করার পরিকল্পনার কথা জানান ঢাকা কলেজের অধ্যক্ষ ও সাত কলেজের সমন্বয়ক অধ্যাপক আইকে সেলিম উল্লাহ খোন্দকার। এর পরিপ্রেক্ষিতে সাধারণ শিক্ষার্থীরা জানান, এখন পর্যন্ত এটি বাস্তবায়নে কোনো ধরনের রূপরেখা বা দৃশ্যমান কার্যক্রম নেয়া হয়নি। শিক্ষার্থীদের দাবি, ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে সেশন ও সিলেবাস সংক্ষিপ্ত করে দ্রুততম সময়ের মধ্যে চূড়ান্ত পরীক্ষা নেয়া হোক।
এ বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) ও সাত কলেজের প্রধান সমন্বয়ক অধ্যাপক ড. এএসএম মাকসুদ কামাল গণমাধ্যমকে বলেন, সাত কলেজের প্রিন্সিপালদের কাছ থেকে রিকুইজিশনটা (দাবিপত্র) এলে আমরা নিশ্চিত হতে পারবো যে তারা এটি বাস্তবায়ন করতে পারবেন কি না। তবে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিকল্পনার রয়েছে।
তিনি আরো জানান, শিগগিরই সাত কলেজের অধ্যক্ষদের নিয়ে মিটিংয়ে সার্বিক বিষয়ে বিস্তারিত সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
তবে সরকারি সাত কলেজের সমন্বয়ক (ফোকাল পয়েন্ট) ও ঢাকা কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক আইকে সেলিম উল্লাহ খোন্দকার বলেন, সেশন সংক্ষিপ্ত করার সিদ্ধান্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কাউন্সিলের। যদি বিশ্ববিদ্যালয়ে এ সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন হয় তাহলে আমাদের ক্ষেত্রেও সেটি হবে। তবে আমরা চাইছি পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হলেই অগ্রাধিকারভিত্তিতে শিক্ষার্থীদের চূড়ান্ত পরীক্ষা দ্রুততম সময়ের মধ্যে নিতে।
এছাড়াও সেশনজট নিরসনে আটকে থাকা পরীক্ষাগুলো অনলাইনে নিতে শিক্ষার্থীদের সক্ষমতা যাচাইয়ের জন্য এরই মধ্যে কার্যক্রম শুরু হয়েছে বলেও জানান অধ্যক্ষ।